এই রকম সময়ে, অনেকেই ঘাবড়ে যায়। কুকুরের কামড় থেকে বাঁচার জন্য স্পিড বাড়িয়ে জোড়ে গাড়ি বা বাইক চালাতে শুরু করেন। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাও হয়। কিন্তু, জেনে রাখবেন, এতে কিন্তু কুকুরও আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে যায়, আর আরও জোড়ে ধাওয়া করে। তাই বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সময় অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার দরকার নেই। যেমন গাড়ি চালাচ্ছেন তেমনই চালাতে থাকুন
এখন ভাবুন, যখনই আপনার পাড়ায় কোনও বেপাড়ার কুকুর ঢুকে পড়ে, তখনই পাড়ার সব কুকুর একত্রিত হয়ে ওই কুকুরের দিকে তেড়ে যায় এবং তাকে তাড়িয়ে দেয়। কারণ, বাঘ, সিংহের মতো কুকুররাও খুব 'টেরিটোরিয়াল'। অর্থাৎ, প্রতিটা কুকুর তার নিজস্ব এলাকা চিহ্নিত করে রাখে। এই এলাকার ভিতর থেকেই ওরা খাবার সংগ্রহ করে। এই এলাকার মধ্যেই ওদের 'মেট'ও (বিপরীত লিঙ্গের কুকুর) থাকে। তাই নিজের এলাকায় খাবার ও যৌনসঙ্গীর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ানো ওরা পছন্দ করে না।
জানেন নিশ্চই, কোনও কুকুর নিজের এলাকা কী ভাবে চিহ্নিত করে! চিহ্নিত করে প্রস্রাব দিয়ে। বাঘেরই মতো। এই পদ্ধতিকে বলে 'টেরিটোরি মার্কিং' অর্থাৎ এলাকা চিহ্নিতকরণ। এখন, আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে অনেক সময় কুকুর আপনার গাড়িতে প্রস্রাব করে। বিশেষ করে টায়ারে। তাই, যখনই আপনার গাড়ি কোনও অন্য পাড়া দিয়ে যায়, তখন সেই এলাকার কুকুরা আপনার এলাকার কুকুরের গন্ধ পায়। যা আপনার গাড়ির টায়ারে লেগে রয়েছে। এই গন্ধের কারণে, কুকুর আপনার গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে তাকে এলাকাছাড়া করার জন্য।