সিবিআই সূত্রে খবর, যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে গরুপাচারের টাকা নিজের, মেয়ে ও পরিবারের সদ্যদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন অনুব্রত মণ্ডল, সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে দেওয়া হত টাকার একটা পার্সেন্টেজ। সেই পার্সেন্টেজ নির্ভর করত কত টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট-এ ট্রান্সফার করা হয়েছে তার ওপর। সূত্রের খবর, এবার সেই সকল অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ডাকতে চলেছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় সই, বীরভূমের কোন স্কুলে কর্মরত অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মন্ডল?
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গল হোসেন কাছে তথ্য অনুযায়ী, প্রচুর জমি কম দামে কেনা হয়েছিল। তার বিনিময়ে গরুপাচারে মূল অভিযুক্ত এনামূল হকের কাছে চলে যেত সেই গরু। পরে সেগুলিই পাচার হত। একদিকে গরুপাচার, তার জন্য কম দামে জমি কেনার কারবার। অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলেই সিবিআইয়ের ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন: অনুব্রত-সহ ১০ জনের অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে ৬ ব্যাঙ্কে চিঠি সিবিআইয়ের, মিলতে পারে কোটি কোটি টাকা!
অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী সায়গলকে জেরা করে সন্ধান মিলেছে মন্টু মল্লিক নামে এক ব্যক্তিরও। সূত্রের খবর, এই মন্টু মল্লিক পাচার করার গরু এনামূলের নামে রসিদ দেখিয়ে বিক্রি করত। বলা হত গরু লোকাল হাটে বিক্রি হয়েছে। গতকালই আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করে সিবিআই। একদিকে গরুপাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে জেরা করছে সিবিআই। পাশাপাশি এদিন আসানসোল জেলে পৌঁছে যান সিবিআই-র ৩ জন অফিসার। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে সেখানেই জেরা করেন ওই তদন্তকারী অফিসারেরা।
অমিত সরকার