প্রসঙ্গত, ইদানীং বারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বারবার আদালতে জানিয়েছিলেন, শরীর আগের থেকেও খারাপ হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, হাঁটতে পারছেন না, হার্টে ৭২ ও ৭৫ শতাংশ ব্লকেজ, লিভার খারাপ, দু’বেলা ইনসুলিন নিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অনুব্রতর অভিযোগ ছিল, খাওয়াও ঠিক করে হচ্ছে না। একটু ডাল বা তরকারি দিয়ে একটা বা দেড়টা রুটি খাচ্ছেন কোনওমতে। জেল হাসপাতালের বাইরে ডাক্তার দেখানোর অনুরোধও করা হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলের তরফে। অনুব্রতর আর্জি মেনেই হাসপাতালে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এর আগে এইমস ও সফদরজং হাসপাতালেও দেখানো হয়েছে অনুব্রতকে। তারপর তাঁকে দেখানো হয় জিবি পন্থ হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়ুন: বুধবারই ঘটতে চলেছে বড় ঘটনা, কুন্তলকে নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত CBI-এর!
কয়েকদিন আগে মেয়ে সুকন্যাকে দেখে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন, এটা বাবা হয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অনুব্রত মণ্ডল। সেই মানসিক চাপের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।
আরও পড়ুন: সীমান্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দৌড়ল দু’জন, ভিতরে যা পেল BSF, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
এই পরিস্থিতিতে তাঁর আইনজীবী ফের জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত। সেই আর্জি মেনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত মণ্ডলের শরীর আগের থেকেও খারাপ হচ্ছে বলে খবর। তিহাড় জেলে মেয়ের সঙ্গে দেখাও হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তারপর থেকেই তিনি আরও ভেঙে পড়েছেন বলে জেল সূত্রে খবর। অসুস্থতা নিয়ে বারবার হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে তাঁকে। জেল সূত্রে খবর, আসলে অনুব্রত মণ্ডল মেয়ের জেলে থাকা মেনে নিতে পারছেন না। তাই খাওয়াদাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অথচ অসুখের জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। সেই মতো খাবার শরীরে না গেলে দুর্বলতা আসবেই। এরই মধ্যে জামিন সেই জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়া অনুব্রতর দুশ্চিন্তা আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।