সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা। একটি পোস্টে তিনি বিজেপি-র কলকাতা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে লিখেছিলেন, তিস্তা বিশ্বাসকে নিয়েছ, মা কালী তো কিছু নেবেই। এছাড়াও তিনি লিখেছিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চেয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। চুক্তি পছন্দ না হওয়ায় তিনি নাকি পিছিয়ে যান। পাশাপাশি রূপার আরও অভিযোগ ছিল, পুজোয় জাঁকজমক করা আর টাকা তোলা ছাড়া সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আর কোনও অবদান নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: তাহলে কি দল ছাড়ছেন? দিলীপ ঘোষকে পাল্টা প্রত্যাঘাত তথাগত রায়ের! লিখলেন, 'যতক্ষণ না...'
বিজেপি নেত্রীর সেই সব মন্তব্য শোরগোল ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দলমত নির্বিশেষে সেখানেই বহু মানুষ রূপার মন্তব্যের বিরোধিতা করতে থাকেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছেও। এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পাল্টা রূপাকে আক্রমণ করেন 'কেষ্ট দা'। তিনি বলেন, ''ওই ট্যুইটটা আমি দেখেছি। আমি জানি না রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মা, বাবা বেঁচে আছেন কি না। সুব্রত মুখোপাধ্যায় তো ওঁর বাবার তুল্য। মানুষ খারাপ হতে পারে, কিন্তু মারা গেলে তাঁকে কেউ খারাপ বলে না। আমার মনে হয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভ্যাস হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত, ওর মা-বাবা যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন নিজের বাবা-মা-কেও ও খারাপ কথা বলেছিল। সেই ভাষাটা এখনও ঠোঁটে লেগে আছে। সেগুলোই মুখস্থ হয়ে আছে এখনও।''
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে এবার পাল্টা পথে BJP, অনুমতি-হীন কর্মসূচিতে আজ কি রুদ্ধ হবে কলকাতা?
আরও পড়ুন: প্রিয় মানুষটা আর নেই, বদলে যেতে চলেছে এলডালিয়া এভারগ্রিনের ভবনের নাম!
যদিও অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ওঁর যেমন ভাবনা-চিন্তা, তেমনই কথা বলেন। এর থেকে বেশি তো কিছু বলার থাকতে পারে না। তবে রূপার মন্তব্য নিয়ে বিজেপি-র অন্দরেই অনেকে সরব হয়েছিলেন। রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেছিলেন, আশঙ্কা হয় বাংলার রাজনীতিতে এই ঘরানার নেতারা চলে গেলে কিছু জোকার আর ডোয়ার্ফরাই বিচরণ করবে। সে আশঙ্কা যে ভুল ছিল না চব্বিশ ঘণ্টার ভিতরে তা প্রমাণ করেছেন বিজেপি নেত্রী এবং সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।