সূত্রের খবর, অনুব্রতের সামনে মেয়ে সুকন্যা এবং প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বয়ান সামনে রাখা হলে সে সব শুনে নাকি কেঁদে ফেলেন কেষ্ট। ইডির দাবি, বোলপুর-সহ আশপাশের একাধিক জায়গায় অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। ধাপে ধাপে জমা পড়েছিল সেই টাকা। ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা এফডি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার নামে রয়েছে। ভুয়ো একাধিক কোম্পানির নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। কীভাবে জমা করা হত টাকা? ইডি সূত্রে খবর, বাড়িতে ডেকে পরিচিতর মাধ্যমে জমা হত টাকা। প্রাক্তন এক ব্যাঙ্ক কর্মীকেও ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
advertisement
কোথা থেকে এলো এই টাকা? কোটি কোটি টাকার উৎস কী? এখনও জানাতে পারেনি ইডি। সেসব জানতেই দিল্লিতে সুকন্যা ও অনুব্রতর হিসাবরক্ষক সহ মোট ১২ জনকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জানাল ইডি।
গত ৭ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। সেদিন মধ্যরাতেই হয় শুনানি। সেখানে ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে।
আরও পড়ুন: ঘর ঝাঁট দিতে দিতে ক্লান্ত? এই ছোট্ট রোবটই ঝাড়ু দিয়ে দেবে আপনার গোটা বাড়ি
অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এবার সুকন্যা সহ যাঁদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে টাকা অনুব্রতের লেনদেনের হদিস মিলেছে, তাঁদের ফের তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।