১৯৫০ সাল এবং বর্তমান সময়ের তুলনা করলে দেখা যাবে, বিশ্বের জনসংখ্যা প্রতি বছর ১% থেকে ২% এর মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের সংখ্যা ২.৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৭.৭ বিলিয়নের বেশি হয়েছে। যাইহোক, ২১০০ সালের মধ্যে, বিশ্বের জনসংখ্যা আনুমানিক 0.১% হারে বেড়ে ১০.৯ বিলিয়ন বার্ষিক হারে পৌঁছে পাবে, যা বর্তমান হারের তুলনায় অনেকটাই কম। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৭০ সালের মধ্যে, এই হার বর্তমান জন্মহারের অনেক নীচে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে (মহিলা প্রতি ২.১ শিশুর জন্ম)। (ছবি: এপি)
এছাড়াও, ২১০০ সালে বিশ্বের গড় বয়স বর্তমান ৩১ থেকে ৪২-এর তুলনায় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা ১৪৬ মিলিয়ন থেকে ৮৮১ মিলিয়নে পৌঁছে যাবে। ২০৭৩ সালের পর পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যখন ৬৫ বছরের বেশি বয়সি এবং ১৫ বছরের কম বয়সি মানুষের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হবে। অর্থাৎ, প্রজননকারী স্ত্রী ও পুরুষের সংখ্যা তুলনায় হয়ে যাবে অনেক কম। (ফাইল ছবি)
২০২০ সালে এশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৪.৬ বিলিয়ন, যা ২০৫৫ সালে ৫.৩ বিলিয়ন হয়ে যাবে। তারপরেই তা কমতে শুরু করবে। চিনের জনসংখ্যা ২০৩১ সালে সর্বোচ্চ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা ২০২০ সালের পর থেকেই কমতে শুরু করেছে। ভারতের জনসংখ্যা ২০৫৯ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তখন তা পৌঁছবে ১.৭ বিলিয়নে। তারপরে শুরু হবে জনসংখ্যা হ্রাস। ইতিমধ্যে, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল দেশ। ২০৬৭ সালে সেই দেশ তার সর্বোচ্চ জনসংখ্যায় পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। (ফাইল ছবি)
চিন-জাপানে ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে জন্মহার। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের। উল্টো হয়ে গেছে জনসংখ্যার পিরামিড। জন্মহার প্রায় তলানিতে। নবজাতকের সংখ্যাও আসছে কমে। সেই তুলনায় সমাজে সংখ্যায় বেড়ে গিয়েছে বৃদ্ধ মানুষ। ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে জনসংখ্যার কাঠামো। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পিউ রিসার্চ সেন্টারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শুধু চিন-জাপান নয়, বিশ্বজুড়েই কমেছে জন্মহার। ফলে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই ধীর হয়ে যাবে। চলতি শতাব্দীর পরে কমতে শুরু করবে পৃথিবীর জনসংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে মানবজাতির উল্টো কাউন্টডাউন শুরু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। (ছবি: এপি)