সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে গেস্ট রুমে শিফট করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে রাখা হয় সিবিআই অফিসের ডিও সেকশন কাছে একটি রুমে। পরে গেস্ট রুমে শিফট করা হয়।
আরও পড়ুন : 'গুড়-বাতাসা' নয়, খেলেন 'মুড়ি-চিনি'! ঘুম থেকে উঠে 'থম' মেরে বসে রইলেন কেষ্ট
সিবিআই হেফাজতেও অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একজন পরিচিত 'কেয়ার টেকার' বা সর্বক্ষণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। সিবিআই সূত্রে খবর, আজ সেই পরিচিত যখন অনুব্রতকে নেবুলাইজার পড়াতে যান তখন অনুব্রত জিগ্যেস করেন - "দলের মনোভাব কী? গ্রেফতারির পর কী বলছে? বাইরের রিঅ্যাকশন কেমন? তাঁরা কি বলছেন?"
advertisement
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আসার পর শুক্রবার বেশ বেলায় ঘুম থেকে ওঠেন অনুব্রত। বেশিরভাগ সময় কার্যত কোনও কথাই বলেননি সকাল থেকে। চুপ করে বসে ছিলেন অনুব্রত। এরপরেই তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। সেখান থেকেই ফের সিবিআই দফতরে।
সিবিআই সূত্রে খবর, রাতেই একটি ক্যাম্প খাট ,কম্বল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। তবে রাতে যাত্রাপথেও কিছু খাননি। সকালে মুড়ি, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক টি আর দুটি বিস্কুট খেয়েছেন অনুব্রত। এরপর দুপুরে লাঞ্চ করেন। এদিন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ আসেন নিজাম প্যালেসে অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলতে। আদালতের নির্দেশ মেনে অনুব্রতর সঙ্গে ৩০ মিনিট দেখা করার অনুমতি মিলেছে তাঁর আইনজীবীর। গরু পাচার মামলায় আজ শুক্রবারই জেরা করা হবে অনুব্রতকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক ও ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গেলের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে জেরা করা হবে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশিতে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জেরা করা হবে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল হক বীরভূমের পশুহাট বাজারে কত দিন ধরে গরু পাচারের ব্যবসা করত, বেআইনি এই আর্থিক লাভে অনুব্রত কী ভাবে লাভবান, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন দলিল ও সম্পত্তি কি অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারের বেআইনি আর্থিক লাভেই ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন : 'এই সবে শুরু...', শিয়ালদহ স্টেশনে নেমেই বিস্ফোরক হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের! যা বললেন
সায়গেলের হাতে গরুপাচারের টাকা আসত অনুব্রত মন্ডলের নাম করে, এমনই সায়গেল দাবি করে দাবি করে সিবিআইয়ের কাছে। সে ব্যাপারেও আজ দফায় দফায় জেরা করা হবে অনুব্রতকে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে সিবিআই টিম তাঁকে জেরা করেনি কারণ তিনি ক্লান্ত ছিলেন। তবে মেডিকেলের জন্য তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আদালতের নির্দেশ মেনে। এরপর নিজামে ফিরে শুরু হয় অনুব্রতকে জেরা।