সিবিআইয়ের প্রশ্নে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তিনি সায়গেলকে এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে কোনও নির্দেশ দেননি। সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গেল এনামুলের থেকে যে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন ২০১৫ সাল থেকে তারপরই সায়গেলের সম্পত্তি বাড়তে থাকে। সেই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হলে অনুব্রত জানান, সায়গেল তাঁর দেহরক্ষী ছিল। সায়গেলের সম্পত্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে কিছুই জানেন না অনুব্রত। সায়গেল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেই দায় তাঁর। সায়গেল তাঁর ডানহাত বলে পরিচিত থাকলেও অনুব্রত সিবিআই জেরায় তা অস্বীকার করেছেন।
advertisement
অনুব্রতর দাবি, সায়গেল তাঁর দেহরক্ষী ছিল। এর বেশি কোনও ক্ষমতা অনুব্রত সায়গেলকে দেননি। সূত্রের খবর এছাড়াও এদিন অনুব্রতকে সিবিআইয়ের প্রশ্ন ছিল, এনামুল বা লতিফের সঙ্গে আপনার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল? অনুব্রত জানান তাঁর সঙ্গে এদের কারও যোগাযোগ ছিল না। এমনকি লতিফকে চিনতেই অস্বীকার করেন অনুব্রত মণ্ডল।
সিবিআই আধিকারিকদের কাছে অনুব্রত মণ্ডল বার বার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না বলেই সিবিআইয়ের অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, অনুব্রত আইনজীবী মারফত জানিয়েছিলেন, "আমি জানতাম দিদি আমার পাশে আছে। ফলে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে "। তাহলে কি সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই আরও বেশি অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত?
এদিন দুপুরে মেডিকেলের জন্য অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। তখনও পাঞ্জাবি পরে নিপাট শান্ত চেহারায় বেরিয়ে যান অনুব্রত। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে নিজামে ঢোকার সময় তাঁর জুতো খুলে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। ফের জুতো পরে তিনি নিজাম প্যালেসে ঢোকেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল আদৌ কি প্রশ্নের উত্তর দেবেন? নাকি অসহযোগিতা আরও বেড়ে যাবে? চিন্তার ভাঁজ সিবিআইয়ের কপালে।
