আগুনে পুড়ে গিয়েছে সবকিছু। নিঃস্ব হয়ে এখন রাস্তায় এসে বসতে হয়েছে অন্য অনেকের মতোই। তবুও কোথাও একটা তৃপ্তির হাসি…নিজের পোষ্য খরগোশ চুনিয়া-মুনিয়াকে বাঁচাতে পেরে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর, সবাই যখন ধ্বংসস্তূপে খুঁজছেন, বাড়ির কিছু বেঁচে রইল কী না, তখন সুচিত্রা হালদার খুশি, পোষ্যদের বাঁচাতে পেরে।
রবিবার সকাল থেকে কলকাতায় হাওয়ার গতি ছিল খুব বেশি, তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। বস্তিতে ছিল বেশ কিছু খাবার এবং চায়ের দোকান। জানা যায়, সেখানে আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। ক্রমে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন লাগে। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ দমকলে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি গাড়ি। পরবর্তীতে আরও ৬টি গাড়ি আসে। জীবনের ঝুঁকি নিণে লেলিহান আগুনের ভিতর সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবনেরশেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে…! সুচিত্রা হালদারও গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সম্পদ নয়, আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচিয়ে আনে নিজের প্রিয় দুই খরগোশ।
advertisement
রবিবার সকালের এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০টি ঝুপড়ি ঘর, দোকান পুড়ে ছাই। চারদিক ঢেকেছে ধোঁয়ায়। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সিলিন্ডার ফেটেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বহু বাসিন্দাই ঘরছাড়া। চরম সমস্যায় বিপাকে ঝুপড়ির বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।