সূত্রের খবর, শুরুতে অমিত শাহর এই সফর পেছানোর সম্ভাবনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, ওইদিন স্টেডিয়ামে ১০ হাজার জন কর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বারুইপুরের ভূগর্ভে চাপা ছিল এত সম্পদ? খোঁড়া হবে শিগগির! ONGC যা জানাল, সবাই চমকাতে বাধ্য!
advertisement
সভা সফল করতে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে। পাশাপাশি, প্রতিটি জেলায় বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে সভায় উপস্থিত হন তাঁরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সভায় উপস্থিতি “অনিবার্য” বলে দলীয় নির্দেশে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই এমন একটি কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। এই সভার মাধ্যমে রাজ্য বিজেপি নিজেদের সংগঠনের শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি আগামী দিনের রণনীতি স্পষ্ট করার সুযোগ পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে বিধায়কদের অনেকেই পড়েছেন দুই পাটের টানাটানিতে। মুখে বলছেন না ঠিকই, তবে অন্দরে চলছে দ্বন্দ্ব—শ্যাম রাখবেন না কুল? শাহ রাখবেন না শ্বশুর? কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হোম মিনিস্টার’কে রাখবেন, না পরিবারের ‘হোম মিনিস্টার’কে?
বৈঠকে এমনই এক মুহূর্তে উঠে আসে আসল জটিলতা। খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, যিনি পেশায় এক স্কুলশিক্ষকও, বলে ওঠেন,
“শুভেন্দুদা, ওই দিন তো জামাইষষ্ঠী! কী করব?”
এই প্রশ্নে অনেক বিধায়ককেই যেন স্বস্তি! কারণ তাঁরা মুখে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে ভাবছেন ঠিক তাই—শ্বশুরবাড়ির আপ্যায়ন বাদ দিয়ে শাহের সভায় কীভাবে যাওয়া যায়!
তবে দলীয় নেতৃত্ব কিন্তু একটুও ছাড় দিতে নারাজ। ১০ হাজার লোকের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আয়োজিত এই সভা রাজ্য রাজনীতিতে বড় বার্তা দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নেতৃত্বে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। জেলার নেতা, বিধায়ক, কর্মীদের পাঠানো হয়েছে কড়া বার্তা—‘উপস্থিতি অনিবার্য’।
তবে এই অনিবার্য উপস্থিতির জের পড়তে পারে অনেকের ঘরে। কারণ, বাড়ির ‘হোম মিনিস্টার’রা হয়তো বলবেন, “দলের নেতার সভা থাক, আজ জামাইষষ্ঠী!” আর তাতেই বঙ্গ বিজেপির বহু বিধায়ক এখন সত্যিই ‘মহা ফাঁপরে’!