মূলত পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে। আন্তঃ রাজ্য সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এ রাজ্যের পাশাপাশি বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, সিকিমের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে।
আরও পড়ুন: 'পা ধরিয়ে ছাড়ব', হলদিয়ায় পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর! পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
advertisement
তবে এ রাজ্যে এই ধরনের হাইপ্রোফাইল বৈঠক নতুন নয়, এর আগেও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ে নেতৃত্বে কলকাতাতে এই সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছে। এবারের বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটির কাউন্সিলের বৈঠকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই ধরছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ২ নভেম্বর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে নবান্নের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে সদস্য হচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই। যদিও সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের মনোনীত সদস্যদের প্রতিনিধি করেও পাঠাতে পারেন এই বৈঠকে।
তবে সব ঠিকঠাক থাকলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও মনে করছে প্রশাসনিক মহল। সাম্প্রতিক সময়ে গরু পাচার সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে এবার এর ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।এই বিষয় নিয়ে পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার মুখ্য সচিব এর নেতৃত্বে একটি বৈঠকও হয় নবান্নে।