এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অমিত মিত্র বলেন, "দুয়ারে সরকারে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২৫ হাজার ৫০২টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ২৪ হাজার ৪৬২ অ্যাকাউন্ট খুলে গেছে। ১০০ শতাংশ অ্যাচিভমেন্ট...."
আরও পড়ুন- আজ রানাঘাটে মমতা-অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর, কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
তবে নানা প্রকল্পের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে একের পর এক সমস্যার কথাও তুলে ধরেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, "তাঁতি ক্রেডিট কার্ড, শিল্পীদের জন্য বরাদ্দ ক্রেডিট কার্ডের জন্য প্যান কার্ডের প্রয়োজন পড়ছে, যদিও তা অনেকেরই নেই। তাই অনেক ক্ষেত্রেই আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে না। আমরা কেন্দ্রকে বিষয়টা জানাব, যাতে এই ধরনের ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার ক্ষেত্রে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক না হয়।"
advertisement
এ ছাড়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গে ভাল কাজ হচ্ছে বলে এদিন দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ১ কোটি ১০ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দের লক্ষমাত্রা স্থির করেছিলাম আমরা। তার মধ্যে ৭০ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে।" এরপরেই কেন্দ্রকে ঠুকে অমিতের মন্তব্য, "কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব করলে ১ টাকা ইনভেস্ট করলে ৪ টে চাকরি হয়। তা হলে ২ লক্ষ ৮০ হাজার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। আমরা খুশি,ভাল ডেভলপমেন্ট হয়েছে।"
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের BF.7 ভ্যারিয়্যান্ট ভয়ঙ্কর সংক্রামক! করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে 'দুই' পরামর্শ মোদির
এদিন নবান্নে, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠক শেষে অমিত মিত্র বলেন, "কেওয়াইসি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষকে এভাবে কেওয়াইসি নিয়ে হয়রান করা যাবে না। লাইফ সার্টিফিকেট ফর পেনশন প্রতি বছর দিতে হয়। বয়স্ক মহিলারা কি করে ব্যাঙ্কে যাবেন? তাই আমরা বলেছি ডোর স্টেপে ব্যাঙ্কিং করতে।"
অমিত মিত্র প্রশ্ন তোলেন, ব্য়াঙ্কের প্রতিনিধিরা কেন প্রবীণ গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন না? তিনি জানান, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের কাছে তিনি অনুরোধ রেখেছেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তাঁর মতে, এমন সিদ্ধান্ত হলে, তা অত্যন্ত বড় সিদ্ধান্ত হবে, পরবর্তীকালে অন্য রাজ্যও এই নীতি অনুসরণ করবেন বলে মনে করেন অমিত।
এদিন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চেপে রাখেননি অমিত। তিনি বলেন, "অনেক বাধা বিঘ্ন এড়িয়ে ব্যাঙ্ক প্রায় ৩৭,৭৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ধার পাওয়া গেছে। ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা ধার দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু বাতিলের সংখ্যা অনেক বেশি। ২১ হাজার জনের স্টুডেন্ট কার্ড তো অবিলম্বে দেওয়া উচিত।"
অমিত মিত্রের দাবি, ওই আবেদনকারীদের যাবতীয় নথিপত্র রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ২১ হাজার জনকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মোট ৮২ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন হওয়ার কথা।