চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও যেন কাটছে না চিন্তা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বানতলার তড়িদাহের বাসিন্দা প্রবীর কর্মকারের বাড়িতে এখন চিন্তা।
শুক্রবার দুপুরের পরে বাড়িতে ফোনের মাধ্যমে তাদের অবস্থার কথা জানালেও এখন চিন্তা প্রবীরের বাড়ির সদস্যদের। শুক্রবার দুপুরের পরে বয়স্ক মা-কে ফোন করে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছে প্রবীর কর্মকার। তবে সেই কথা এখনো যেন তাদের ভয় দেখায়, বারবার বাড়ি ফেরার তাড়া দিচ্ছে পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন- 'সেই যে ভিডিও কল কাটল...', অমরনাথে নিখোঁজ কলকাতার চার বন্ধু
প্রবীর কর্মকারের মা জানান, চিন্তা খুবই হচ্ছে, বলছে ভাল আছি। কোনও অসুবিধা নেই। তবে সত্যি কি ভালো আছে? এখন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেই হল।
একই অবস্থা ভোজের হাটের রমেশ গায়েনের পরিবারের। শুক্রবার রমেশ নিজের চেখের সামনে দেখেছে এই ব্যাক্তিকে চোখের সামনে তলিয়ে যেতে। একটি পাহাড় থেকে নেমে আসা বড় পাথর পায়ের সামনে পড়ে। রমেশের মনে হয়েছিল ওই পাথর পা এর সামনে পড়লে পা জখম হত তা নিশ্চিত।
রমেশ গায়েনের মা এর বক্তব্য, চিন্তা তো খুবই হচ্ছে, ছেলে এখন বাড়ি ফিরলেই ভালো হয়। ওই দুর্ঘটনার কথা রমেশ যা বলল তাতে দুর্যোগ যে কম হয়নি, বোঝাই যাচ্ছে।
রমেশের বাবার বক্তব্য, শুক্রবার এই ঘটনা শুনে ঘুম হয়নি সারারাত। এখন একটু চিন্তামুক্ত। তবে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত চিন্তা কাটবে না। এই এলাকা থেকে প্রায় আশি জনের একটি গ্রুপ গেলেও বর্তমানে প্রতিটি বাড়িতে শুরুই চিন্তা।
আরও পড়ুন- দুই ছাত্রের মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে! রবীন্দ্র সরোবরে চলছে ট্রায়াল রান
করোনা প্রকোপের পরে প্রায় দুই বছর পরে এই ভ্রমনে জন্য তুলনামূলক যাত্রী বেড়েছে তা স্পষ্ট। যদিও প্রবীর কর্মকারের মতো যাত্রীদের মন্তব্য, এভাবে দর্শন হওয়ার আগেই আটকে যেতে হবে সবাইকে, তা সত্যিই ভাবনার বাইরে।