স্থানীয়দের অভিযোগ ২০১২ সালে এই কলেজে ভর্তি হন সঞ্জয়। সাধারণত অন্যান্য ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা পাশ করে বেরিয়ে গেলেও প্রায় ১৩ বছর ধরে এই কলেজেই রয়েছে সঞ্জয়। এই কলেজে যথেষ্ট প্রভাবশালী সে। এমনকি আগে এক সময় এই কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও ছিল।
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত ১২টার পরেও কলেজ খোলা থাকে। মধ্যরাতে কলেজ চত্বরে মদ্যপান ও হৈ-হুল্লোড় করা হয় । বেজে চলে উচ্চস্বরে গান, চলে জন্মদিনের পার্টি। যখন-তখন কলেজ ক্যাম্পাসে মেয়েদের ডেকে পাঠানো হয়, যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর।প্রসঙ্গত কলেজে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠদের এরকম বেপরোয়া আচরণের বেশ কিছু ছবিও সামনে এসেছে। কলেজ চত্বরে মদ্যপানের কিছু ভিডিও দেখিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই সমস্ত অভিযোগ সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে—একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে এইভাবে অসামাজিক কাজের আঁতুড়ঘরে পরিণত হল? স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে কলেজ প্রশাসনেক বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এই বিষয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর হস্তক্ষেপ করুক এবং তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, কসবা ল কলেজ কাণ্ডের পর থেকে শহরের বিভিন্ন কলেজ চত্বর ঘিরে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। গড়িয়াহাট ITI কলেজ তারই এক নতুন অধ্যায়?এই ঘটনায় এখনও কলেজ কর্তৃপক্ষ বা সঞ্জয় চৌধুরীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তপ্ত শহরের শিক্ষা মহল।