তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পুরুষেরা তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে রোজগারের জন্য বৃহন্নলা রূপ ধারণ করছে। এমনও অনেকে রয়েছে যাদের পুরুষাঙ্গ রয়েছে। কিন্তু শাড়ি ব্লাউজ পরে বৃহন্নলা সেজেছে।
নূর বেগমের দাবি, তাঁর নাম ছিল নুর মহম্মদ। বাড়ি খিদিরপুর এলাকাতে।তখন নূরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সেই বয়সে গুরু পপি তাঁকে প্রথম ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে লিঙ্গচ্ছেদ করিয়ে বৃহন্নলা বানায়।
advertisement
আরও পড়ুন- 'যাদের কাঁচা বাড়ি আছে তাদের পাকা বাড়ি করে দেব', বিরাট বার্তা মিঠুন চক্রবর্তীর
শুধু পপি নয়, এরকম বহু বৃহন্নলা রয়েছে যারা রোজগারের জন্য নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছে। দিনের পর দিন বৃহন্নলাদের জোরাজুরি সাধারণ মানুষের উপর বাড়ছে। তাঁদের চাহিদা মতো টাকা না দিতে পারলে মানুষের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করছেন অনেকেই। এমনকী, শারীরিক হেনস্তা পর্যন্ত করছে কিছু বৃহন্নলা।
বৃহন্নলাদের একটা দল রয়েছে, যাঁরা প্রচুর টাকা রোজগার করছেন এবং কালো দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অপরাধও করছেন। আর একটা দল সাধারণ উপায়ে রোজগার করছেন। নুর বেগমের দাবি, কষ্ট না করে বেশি টাকা রোজগারের জন্য বহু পুরুষ এই ধরনের পেশায় নেমেছে।
এছাড়াও নূর অভিযোগ করেছেন, পার্ক স্ট্রিট, সোনারপুর, পার্ক সার্কাস -এরকম জায়গাতে বেশ কিছু ডাক্তার ও নার্সিংহোম রয়েছে, যারা পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময় পুরুষের পুরুষাঙ্গ কেটে অনেককেই বৃহন্নলা বানিয়ে দিচ্ছে।
নুর আবেদন করেছেন, বৃহন্নলাদের চাপের কাছে মাথা নত করে কেউ যাতে টাকা না দেন। প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ জানানোর আবেদন করেন তিনি। নূর বলছিলেন, 'সারাদিন কোনো ভাবে কেটে যায়, সন্ধ্যা হলে যখন বাড়িতে ফিরি-তখন না আছে বউ, না আছে স্বামী, না আছে সন্তান!আমাদের জীবনের ভুল এখন আমাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।'
আরও পড়ুন- কলকাতার 'এই' জায়গায় শনিবার বন্ধ জল পরিষেবা, স্বাভাবিক হবে কখন? যা জানাল পুরসভা
অন্যদিকে নূর দাবি করেন, এভাবে বৃহন্নলাদের তোলাবাজি নিয়ে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন যাতে কড়া পদক্ষেপ নেয়। যদি কড়া পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নূর তাঁর সঙ্গী সমস্ত বৃহন্নলাদের নিয়ে নবান্ন পর্যন্ত যাবেন।