দলের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন, "আমরা কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যেহেতু নেই সেহুতু পতাকার অংশটুকু পরিবর্তন করলাম। আমরা কৃষক ও শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ব। সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৃষি ও শিল্পে। তাই এটাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখবে দল। অনেকে বিব্রত হচ্ছে এটা শ্রমিক শ্রেণীর পার্টি রইল না। বুর্জোয়া গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটা পার্টি তৈরি হল। তাঁরা ঠিক ভাবছেন না। সুভাষ চন্দ্র যে বামপন্থী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু আজ সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। বরং এখন মানুষ বলছে ভারতীয় বামপন্থার জনক সুভাষ চন্দ্র। দীর্ঘদিন আমরা পতাকায় কাস্তে হাতুড়ি ব্যবহার করেছি আন্তর্জাতিকতার কথা বলেছি। এখনও বলব। সুভাষ চন্দ্রের চেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ভারতে আজ পর্যন্ত কোনও নেতা জন্মায়নি। তাই এই বিষয়ে তিনিই আমাদের আইকন।"
advertisement
আরও পড়ুন: অফিস টাইমে বনগাঁ শাখায় পর পর আটকে ট্রেন! চূড়ান্ত নাকাল নিত্যযাত্রী, কী নিয়ে সমস্যা?
দলীয় সূত্রে খবর, দলের একাংশ পতাকার পরিবর্তনের দাবি তুলছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। মাদুরাই কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রস্তাব এসেছিল। সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা যায়নি বলে তখন স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ভুবনেশ্বর কাউন্সিলের আগে ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় পার্টিকে পাঠানো হয়। ভুবনেশ্বর কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পতাকা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।
নরেন চট্টোপাধ্যায় জানান, "এখন মানুষের কাছে যেতে হবে। আমরা পরিবর্তন কেনও করলাম। পতাকা পরিবর্তনের মধ্যে মতবাদী অনেকগুলো বিষয় লুকিয়ে আছে। ফরওয়ার্ড ব্লক সুভাষ চন্দ্রের দল। ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে আমরা সুভাষবাদের প্রচার করবো। সেই প্রচারের জন্য পুস্তিকা, হ্যান্ডবিল, পোস্টার সব জায়গায় আমরা পাঠাব। যাতে ভারতীয় মাটিতে ভারতীয় মতের পথের কথা সুভাষ চন্দ্র বলে গিয়েছিলেন। আমরা সেই পথেই চলব।"
UJJAL ROY