রবিবার হাওড়ার বাঁকড়ার রশিকলে আল কায়দা সন্দেহে আটক দুই ব্যাক্তিকে নিয়ে পৌঁছায় দুপুরে। রশিকলের ভাড়া বাড়িতে কাজী আহসান উল্লাহ বেশ কিছু মাস ভাড়া ছিল। সেই তথ্য হাতে আসতেই ধৃতদের নিয়ে পৌঁছে যান হাওড়ায়।
আরও পড়ুন- পরিত্যক্ত হাসপাতাল চত্বরে নেশার আসর! 'পুলিশে খবর দিন' পোস্টার কাউন্সিলরের
সূত্রের খবর, কাজী আহসান উল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি ওই বাড়িতে থাকার আগে নয়াবাজ এলাকাতেও থাকতেন। রশিকলের ভাড়া বাড়িতে STF গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযানে কিছু না পেলেও জানতে পারেন, কাজী আহসান উল্লাহ শিক্ষক পরিচয় দিয়ে থাকতেন এলাকায়।
advertisement
ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষকতা করবেন বলে নয়াবাজ এলাকা থেকে রশিকলে আসেন। বলেছিলেন, জায়গার অভাব নয়াবাজে। তাই রশিকলের ভাড়া বাড়ি খুঁজছেন। অল্প টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিতে রাজি হয়ে যান বাড়ি মালিক।
যদিও সেরকম ছাত্র ছাত্রীর আনাগোনা ছিল না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে কলকাতার তপশিয়ার পঞ্চান্নগ্রামের একটি বাড়িতেও ভাড়া থাকতেন কাজী আহসান উল্লাহ হরফে আহসান।
কলকাতার বাড়িতে পুরানো গাড়ির বেচাকেনা করে বলে পরিচয় দেওয়া হয়। যদিও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তা হলে কি হাওড়ায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য ব্রেনওয়াশ করত আহসান?
ওই এলাকা বেছে নেওয়ার কি বিশেষ কোন কারণ আছে? এলাকায় শিক্ষক হিসাবে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত কাজী আহসান উল্লাহ? সূত্রের খবর, কাজী আহসানের কাজ ছিল সংগঠনের বিস্তার করা। মূলত জেহাদি ভিডিও, অডিও মোবাইলে পাঠানো।
আরও পড়ুন- জাদুঘর গুলিকাণ্ডে CISF জওয়ানের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! আজও সওয়াল করলেন না কেউ
বিভিন্ন সময় জেহাদি পুস্তক ও লিফলেট বিলি করার কাজও করত সে। যদিও আহসান ছাড়াও আব্দুল রাকিব সরকারকে আহসানের বলা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তথ্য মিলিয়ে দেখেন STF গোয়েন্দারা।