গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে উড়ে আসা এই বিমানটি মূলত জ্বালানি ভরা এবং এই বিমানের কর্মীদের সাময়িক বিশ্রাম দিতেই কলকাতায় অবতরণ করানো হয়। তবে রবিবার রাতে বেলুগা বিমানটি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে উড়ে যায়। রবিবার সারাদিন কলকাতা বিমানবন্দরেই ছিল অতিকায় এই বেলুগা। ফলে সামুদ্রিক এই তিমির মতো দেখতে বিমানটিকে দেখতে যাত্রীরা ব্যাপক ভাবে ভিড় জমান। কলকাতা বিমানবন্দরের ট্যুইটার হ্যান্ডলে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- কলকাতায় এক টুকরো কাতার, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাটুলিতে গেলেই দেখা হয়ে যাবে !
১৭.২৪ মিটার উচ্চতা এই অতিকায় বিমানটির। ৫৬.১৫ মিটার লম্বা, ৪৪.৮৪ মিটার চওড়া। মূলত মাল বহন করার কাজে বিশাল আকারের এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ৪৭ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিমানটির ভারবহন ক্ষমতা রয়েছে। বেলুগার জন্যে জ্বালানির প্রয়োজন হয়ে থাকে ২৩ হাজার ৮৬০ লিটার। এখানেই শেষ নয়, এতো বড় আকার হয়েও ৮৬৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাতে এই বিমান ছুটতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিমান অন্যান্য যাত্রীবাহী বিমানের থেকে কিছুটা আলাদা। কর্মী সংখ্যা থাকেন মাত্র দু’জন।
তবে এত বড় বিমান যখন মাঝ আকাশ চিরে চলে তখন সবার নজর একেবারে কেড়ে নেয়। কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণের পর এই বিমানটিকে একবার চোখের দেখা দেখতে দমদম বিমানবন্দরে রীতিমত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের বক্তব্য বেলুগা বিমানটি দেখতে অনেকটাই সামুদ্রিক তিমির মত। বিশালাকার। এরকম বিমান সচরাচর দেখাই যায় না। তাই এর সম্পর্কে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে ওঠেন।