চিকিৎসকরা অবশ্য জানাচ্ছেন, চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার খুব বেশি না হলেও অসতর্কতা বিপদ ডেকে আনতেই পারে৷ যেমনটা হয়েছে আশীষ বাবুর ক্ষেত্রে৷
আরও পড়ুন: সাবাধান! ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এই ১০টি অভ্যাস বদলান
মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১০ নভেম্বর থেকে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয় আশীষবাবুর৷ সারা গায়ে গোটা গোটা বেরিয়ে যায়৷ প্রথমে বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন তাঁর হয়তো অ্যালার্জির কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৪ তারিখ আশীষবাবুকে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ধরতে পারে তার চিকেন পক্স হয়েছে।
advertisement
শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে ১৬ তারিখ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ওই প্রৌঢ়কে স্থানান্তরিত করা হয়। ভর্তি হওয়ার পরের দিনই ১৭ ই নভেম্বর তাকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ১৯শে নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে যে আশীষবাবুর এমন পরিণতি হবে, তা ভাবতেও পারেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷
আরও পড়ুন: শীতের রাতে ঘুমোনোর আগে মাত্র এক গ্লাস জল বদলে দেবে জীবন! সমস্ত রোগের ছুটি
চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম কয়েকদিনের অবহেলাই বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ যেমনটা হয়েছে আশীষবাবুর ক্ষেত্রে৷ বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট বা পরজীবী বিজ্ঞানী অমিতাভ নন্দী জানিয়েছেন, সরাসরি চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা খুবই কম৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চিকেন পক্স আক্রান্তে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঙ্গে প্রভাব পড়ে৷ তার মধ্যে অন্যতম ফুসফুসে সংক্রমণ না নিউমোনিয়া৷ যা প্রাণঘাতী হতে পারে৷ চেতলার বাসিন্দা আশীষবাবুও চিকেন পক্সের সঙ্গে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন৷
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দেশে ৪৭০৯৪ জনের চিকেন পক্স হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪৬ জন। তার মধ্যে ৪০ জনই পশ্চিমবঙ্গের। ২০১৬ সালে ৬১১১৮ জনের চিকেন পক্স হয়েছিল। মারা যান ৬০ জন। তার মধ্যে ৩৫ জনই পশ্চিমবঙ্গের।