গাড়িটিতে চালকসহ পাঁচজন আরোহী ছিলেন। এঁদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়। পার্ক সার্কাস ময়দানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ এসে আহত ব্যক্তিকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত যুবক জানান, গাড়ির চালকসহ পাঁচজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন৷ সল্টলেকে রাতভর পার্টি করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ঘটনার পরেই বাকি চারজন পলাতক। সেই সময় মা ফ্লাইওভারে গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল! সংসদে এই বিষয় নিয়ে সরব দলের একের পর এক সাংসদ
তবে এদিনের এই দুর্ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সল্টলেক থেকে মা ফ্লাইওভার পর্যন্ত তীব্র গতিতে গাড়িটি এলেও কেন পুলিশ বাধা দিল না? কেনই বা এইরকম দুর্ঘটনা বারবার ঘটলেও মদ্যপ চালকদের নিয়ে জন্য পদক্ষেপ করে না পুলিশ? রাত ৯টার পরে পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, আলিপুর রোড-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গাড়িচালক বা গাড়ির আরোহীদের পরীক্ষা করে পুলিশ, কিন্তু ভোরের দিকে সেই পরীক্ষা কেন হয় না? কীভাবেই বা সল্টলেক থেকে বেপরোয়া গতির গাড়ি একের পর এক সিগন্যাল লঙ্ঘন করে মা ফ্লাইওভার পর্যন্ত উঠতে পারল? এমনই বহু প্রশ্ন উঠছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুব দ্রুত গাড়ি চালক-সহ বাকি আরোহীদেরকে চিহ্নিত করা হবে। এদেরকে আটক করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।