আর সংবাদমাধ্যমের উপর এই নিদান জারি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের ভয়েই এই নিদান জারি করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের উপর এই ধরনের ‘ফতোয়া’ বিজেপির ক্ষেত্রে অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) থাকাকালীন অমল চট্টোপাধ্যায়ও দলীয় কার্যালয়ে এই ভাবে সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এবার আবার ফিরে এল সেই দিন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভার্চুয়ালি রূপা গঙ্গোপাধ্যায় হাজির হওয়া ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও কলকাতার দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরাও। সূত্রের খবর, সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সভাপতি সুকান্তর কাছে জানতে চান, তাঁকে কেন বৈঠকে ডাকা হয়েছে? এর পরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান তিনি। শুধু তাই নয়, এরপরেই সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তিনি। বিস্ফোররক এই পোস্টেই কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন কোঅর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুর প্রসঙ্গে মারাত্মক অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তিস্তা বিশ্বাস কলকাতা পুরসভার বিজেপি কো অর্ডিনেটর ছিলেন। কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ওয়ার্ড থেকে তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী করার কথা থাকলেও অন্য একজনকে টিকিট দেয় দল। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ছিলেন রূপা। এরপরই মঙ্গলবারের বৈঠকে রুদ্রমূর্তি ধারন করেন রাজ্যসভার সাংসদ। তবে, রূপার এই ব্যবহার মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। তবে, বিড়ম্বনা আড়াল করতে আপাতত রূপার সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে সমন্বয় সাধন করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খবর। যদিও এই যাবতীয় কিছুর জন্য আপাতত সংবাদমাধ্যমের উপর জারি হয়েছে ফতোয়া।