আপাতত ঠিক আছে, রবিবার শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের পর সোমবার উত্তরকন্যায় (Uttarkanya) জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এবং আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মঙ্গলবার তিনি যাবেন কার্শিয়ংয়ে। সেখানে কার্শিয়ং সার্কিট হাউসে দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। তারপর ধস বিধ্বস্ত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। আর ২৮ অক্টোবর কলকাতায় ফিরে সেদিনই গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: জয়ের গন্ধ গোয়ায়, পাহাড় থেকে ফিরেই চমকের সফর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
শনিবারই গোয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লিখেছেন, ''২৮ অক্টোবর আমি গোয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি৷ তার আগে গোয়ার প্রতিটি মানুষ, সংগঠন এবং বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলির কাছে একজোট হওয়ার আর্জি জানাচ্ছি যাতে বিজেপি-র বিভাজনমূলক উদ্দেশ্যকে পরাজিত করা যায়৷ গত দশ বছর ধরে গোয়ার সাধারণ মানুষ যথেষ্ট কষ্ট ভোগ করেছেন।'' এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ''আমরা সকলে মিলে একটি নতুন সরকার গঠন করব আর গোয়ার জন্য নতুন ভোর নিয়ে আসব, যে সরকার প্রকৃত অর্থেই গোয়ার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে এবং তাঁদের আশা আকঙ্খা পূরণ করবে৷'
আরও পড়ুন: সাংসদ পদে পদত্যাগ সাঙ্গ, বাবুল সুপ্রিয়কে এবার বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল!
বস্তুত, এ রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরই উত্তর-পূর্বের রাজ্য দখলে নজর দিয়েছে তৃণমূল (TMC), তাঁদের নজরে প্রথমেই রয়েছে ত্রিপুরা ও অসম। একইসঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখে দেশের পশ্চিমাঞ্চলেও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তৎপর হয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সূত্রে খবর, আরব সাগরের পাড়ে জোড়া ফুল ফোটাতে চূড়ান্ত তৎপরতা অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে দল। আর সেই সূত্রেই একেবারে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী পা রাখতে চলেছেন গোয়ায়। জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন গোয়ার একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার, এক অভিনেত্রী সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। বেশ কিছু আগেই চমক দিয়ে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দীর্ঘ দিনের বিধায়ক লুইজিনহো ফালেরিও যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ঘোষণা করেছে দল। এখন গোয়ায় তৃণমূলে যোগদানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গোয়া সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।