বুধবার সকাল আটটা নাগাদ রাজভবন ক্যাম্পাসের মধ্যে যে বাড়িতে মলয় ঘটক থাকেন সেখানে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান বিকেল ৩.৪০ মিনিট নাগাদ। তার ঠিক এক ঘন্টা পরে বিকেল ৪.৪০ নাগাদ রাজভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান মলয় ঘটক৷ এদিন গাড়ির সামনের সিটে বসে বেরনোর সময় তার বডি ল্যাঙ্গোয়েজ ছিল পজিটিভ৷ হাসি মুখেই তিনি বেরিয়ে যান৷ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, "বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।" সাংবাদিক সম্মেলনের সময়েও তাঁকে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন দেখায়নি৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'সিডিতেই আছে সব প্রমাণ', সিবিআই-এর অকাট্য যুক্তিতেই বিপদে অনুব্রত! ফের সেই জেলেই
আরও পড়ুন: বাগুইহাটির নৃশংস খুনের ঘটনায় সঞ্জীব-তীর্থঙ্করের স্মৃতি মনে করালেন কুণাল
বুধবার সকালে প্রথমে আসানসোলে মলয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। একটি বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে অন্য একটি বাড়িতে যায় সিবিআই। পাশাপাশি কলকাতার লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের অন্য একটি দল। এদিন কলকাতা, আসানসোল-সহ অন্তত সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। প্রথমে আসানসোলের আপকার পার্ক এবং জেলিডাঙায় মন্ত্রীর দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে। পরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সাংবাদিক বৈঠকে তাই নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দেন মলয়৷ বলেন, "আমার কাছে ১৪ হাজার টাকা ছিল। এটা তাৎপর্যপূর্ণ নয় বলে তারা সেই টাকা নিলেন না।আমার আসানসোলের বাড়ি পৈতৃক। সবার শেয়ার আছে। আমার ছেলের বাড়ি ৮৮ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক লোন। কোনও অন্যায়ের টাকা নেই। আমার SBI এর অ্যাকাউন্টের কাগজ নিয়ে গেলেন৷ ফোন সেট নিয়ে গেলেন। ইডি আমাকে যা যা জানতে চেয়েছে আমি তাই পাঠিয়েছি। আসানসোলের মানুষ আমাকে জানেন। পাশাপাশি প্রবল আত্মবিশ্বাসী হয়ে এও বলেন, "বিজেপি সমর্থকরা বা নেতারা বাদ দিয়ে আসানসোলে কেউ যদি আমাকে কয়লার টাকা নিয়েছে বলে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব৷"
এদিকে তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক ছিলেন আসানসোলের বাড়িতে। সেখানে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিষয়টিও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন সুদেষ্ণা দেবী।