#কলকাতা: অবশেষে বৃহস্পতিবার ২৮ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার করলেন পার্শ্বশিক্ষকেরা। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে বৈঠক করে ইতিবাচক সংকেত পেয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। আজ দুপুর নাগাদ স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়েই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অনশনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের। যদিও বুধবার শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার অনশন মঞ্চ কার্যত ফাঁকাই ছিল।
advertisement
নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে ২৮ দিন ধরে অনশন চালিয়ে গেছেন পার্শ্বশিক্ষক রা। অনশন আন্দোলনের প্রথম থেকেই রাজ্য নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো পক্ষে ছিল না।গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেন অনশনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা। পার্শ্বশিক্ষকদের চিঠিতে আবেদনে সাড়া দিয়ে বুধবার পার্শ্বশিক্ষকদের চারটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো স্থায়ীকরণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পার্শ্ব শিক্ষকরা বৈঠক শেষে অবশ্য দাবি করেন রাজ্য সরকার তাদের দাবি নিয়ে সময় চেয়েছে।পার্শ্ব শিক্ষকরা জানান সময় দিতে তারা প্রস্তুত হচ্ছেন। তবে লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বুধবার নিয়েছিলেন। শেষমেষ বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অনশনকারী পার্শ্ব শিক্ষকেরা। যদিও বৃহস্পতিবারই সকাল থেকে অনশন মঞ্চের এক ভিন্ন ছবি ধরা পরল।
অনেক অনশনকারী বুধবার রাতেই অনশন তুলে নিয়েছেন। অনেকে আবার নিজেদের জেলা স্কুলগুলিতে ফিরে গিয়েছেন।এর পিছনে অবশ্য অনশনকারীদের দাবি শিক্ষা মন্ত্রী বুধবার বৈঠকে যে যার স্কুলে ফিরে যেতে বলেছেন তার জন্যই অনশনকারীরা স্কুলে ফিরে গেছেন। তারা স্কুলে ক্লাস বয়কট তুলে নিয়েছেন। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের তরফে মধুমিতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন 'সরকারের সঙ্গে আলোচনার ওপর আমরা আস্থা রাখছি। মার্চ মাস পর্যন্ত তারা সময় নিয়েছেন। যদি তার মধ্যে কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসে তাহলে আমরা ফের আন্দোলনে বসব'।
এদিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন চলাকালীন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর অনুপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের শোকজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মূলত কোন কারণ ছাড়াই যারা স্কুলে অনুপস্থিত তাদেরকেই শোকজ করতে বলা হয়েছিল। বুধবার অনশনকারী পার্শ্ব শিক্ষকরা এ প্রসঙ্গটি ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর কাছে রাখেন। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে কোন সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে যদি কেউ অনুপস্থিত থাকে তাহলে সেই সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। গত তিন বছর ধরে পার্শ্বশিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রয়েছে।সেই ইনক্রিমেন্ট যাতে চালু করা যায় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে অর্থ দপ্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, অবসর নেওয়ার পরে পার্শ্বশিক্ষক রা এক লক্ষ টাকা গ্র্যাচুয়িটি পান। সেই গ্র্যাচুয়িটির পরিমাণ যাতে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও রাজ্য অর্থ দপ্তরের ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।