স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি প্রায় আড়াই বছর আগের মতোই ভয়াবহ। অনেকেই জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ফাটল দেখা যাচ্ছিল বাড়ির দেওয়ালে। কিন্তু বুধবার পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। বাড়ির মেঝে, দেওয়ালে রীতমতো বড় ফাটল দেখা যায়। স্বাভাবিক কারণেই প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: মেট্রোর কাজের জেরে একাধিক বাড়িতে ফাটল, বউবাজারে ফের আতঙ্ক, মাঝরাতে রাস্তায় বাসিন্দারা
advertisement
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মতোই একইভাবে এলাকার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় অন্তত দু তিন মাস ধরে তারা হোটেলে ছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এবারও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাসিন্দারা। বাড়িতে ফাটল দেখা দিলেও শুরুতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এই সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করব: শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ
ফলে রাতেই বাসিন্দাদের ক্ষোভ উত্তোরত্তর বাড়তে থাকে। এদিকে বাসিন্দাদের অন্য় জায়গায় পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রাতেই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এবং চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বরূপের দাবি, অন্তত ৮-১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বুধবার মধ্যরাতে। যাঁরা বাড়ির ভিতরে আছেন, তাঁদের বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র নিরাপদে সরানোর চেষ্টা যৌথ ভাবে করছে মেট্রো ও পুরসভা।