কিন্তু ছবিটা আর আগের মত নেই। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক নেতা নেত্রী কংগ্রেসের 'হাত' ছেড়ে জোড়াফুলে সামিল হয়েছেন। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেব তেমনি রয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের নেতারাও। যার জেরে যে কংগ্রেস তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটাউট ছবি-সহ পেগাসাস কাণ্ডে টুইট করেছিল সেই দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের লখিমপুর খেরি যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।এতকিছুর পর মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সুখেন্দুশেখর রায় ও সুস্মিতা দেব বলেছেন, "বিরোধী জোট গড়তে সক্রিয় হন নয় সোনিয়া গান্ধী। তাই কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা না করে একলা চলো নীতি নিয়েছে তৃণমূল।"
advertisement
আরও পড়ুন- সময় পেরোলেও দ্বিতীয় ডোজ নেননি ১১ কোটি মানুষ! তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শুধু তাই নয় কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের বানিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যার জবাবে চাঁচাছোলা আক্রমণ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর ঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury on Mamata Banerjee )।
আরও পড়ুন-'হয় জঙ্গি নিকেশ করুন, না হলে বদলি নিন', কাশ্মীরে গিয়ে অফিসারদের কড়া বার্তা শাহের
তিনি বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কেন বলছেন না, আমি কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করেছি। আলাল-দালাল দিয়ে বলাচ্ছেন কেন? তৃণমূলের খুদকুঁড়ো খেতে যাঁরা ব্যস্ত তাঁদের দিয়ে বলাচ্ছেন কেন?" এরপরই অধীর মমতা সম্পর্কে গান্ধী পরিবারের স্বচ্ছ ধারণা প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, "দায়িত্ব নিয়ে বলছি, মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) খুব স্নেহের চোখে দেখে গান্ধী পরিবার। মমতার প্রতি কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের খুব ভালো ধারণা রয়েছে। আমাদের উপর বাংলায় অত্যাচার হয়, এতদিন তা দিল্লির নেতারা বিশ্বাস করত না। আদর্শ নারী হিসেবে মমতাকে দিল্লির নেতারা দেখতেন। এখন মমতার কীর্তিকলাপ দেখে তাঁরাও অবাক হয়ে যাচ্ছেন।"
অধীর মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমানে যাবতীয় পদক্ষেপ এর পেছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। তাঁর কথায়, "আসলে প্রশান্ত কিশোরের কথায় নেচে উঠছেন ওনারা। কোন যুক্তিতে বিজেপির হাত শক্ত করছে? কংগ্রেসকে দুর্বল করে কোন যুক্তিতে বিজেপিকে হারানো যাবে? গোপন বোঝাপড়া হয়েছে। ইডির-র দফতর থেকে বেরিয়ে আসার পরই কংগ্রেসকে গালাগাল দেওয়া শুরু হয়ে গেল! ক্রোনোলজিটা টা বুঝুন। সময়টা বুঝুন। কিছুদিন আগেই মমতা সোনিয়ার সঙ্গে মিটিং করেছে। আমরা কি জানি না কোথায় কী হচ্ছে! মমতা যাদের ক্ষমতায় সরকারে এল তাদের খতম করল। কোন কারণে বিজেপি বাংলায় শক্তিশালী হল। আমাদের সাইনবোর্ড বানাতে গিয়ে বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছেন। আমরা একদিন ফিরে আসবই। আপনিও একদিন একা সাংসদ ছিলেন। তাই অহং দেখাবেন না। দাম্ভিকতা দেখাবেন না।"
RAJIB CHAKRABORTY