প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আগামী দিনে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি বনাম মমতা করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকেও লাভ পাওয়াতে চাইছেন এবং নিজেও লাভ পেতে চাইছেন। এর আগে ২০১৯-২০২১ সালে একই ঘটনা ঘটে।’
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গ তুলে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আদতে বিজেপির সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মনে হয়েছে এখন কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া বোকামি। সিপিএম একটা বাহানা। যেদিন মমতা দেখলেন সিপিএম মাতব্বরি করছে সেদিন কেন প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসেননি।’
advertisement
আরও পড়ুন : ‘বাংলা জানে কী করতে হবে…’ নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপনে কেন্দ্রকে ঠুকলেন মমতা
তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “তিনি সম্পূর্ণ দুমুখো অবস্থান নিয়ে চলছেন। ‘হাওয়া’ অনুযায়ী অবস্থান পরিবর্তন করেন মমতা। তিনি বিজেপি ও তৃণমূলের উভয়ের আখের গোছাতে চান। সিপিআইএম তাঁর ‘বাহানা’ (অজুহাত)। তিনি মোদি এবং দিদির মধ্যে ভোট ভাগ করতে চান”।
গতকাল তাঁর মন্তব্যে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমি জোর দিয়েছি যে নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলিকে আঞ্চলিক দলগুলির হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস একাই ৩০০টি লোকসভা আসনে লড়তে পারে এবং আমি তাদের সাহায্য করব। আমি ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। কিন্তু, তারা নিজেরা যা চায় তাই করতে অনড়।”
কংগ্রেসের উল্লেখ না করে মমতা আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনায় বিলম্বের জন্য জোটকে কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু, কিছু লোক আসন ভাগাভাগি নিয়ে আমাদের কথা শুনতে চায় না। আপনি যদি বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে না চান, তাহলে অন্তত তাদের আসন পাইয়ে দেবেন না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪২টি আসনেই লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফলে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঠিক কী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে ইন্ডিযা জোটের তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। এবার এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দয়ায় ভোট লড়বে না কংগ্রেস। যে দুটি আসনে কংগ্রেস জিতেছিল তা বিজেপি, তৃণমূলকে হারিয়েই জিতেছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে অধীরের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, লোকসভা নির্বাচনে কী বাংলায় বদলাবে ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ? আসন ভাগাভাগি নিয়েই কোন দিকে এগোবে ইন্ডিয়া জোট?