তবে বিধায়কের মৃত্য়ুর এক মাসের মধ্য়ে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন ঘোষণা হলেও রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্য়ুর পর এগারো মাস কেটে গেলেও এখনও বিধায়ক শূন্য় মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। বিধায়কের মৃত্য়ুর পর বছর ঘুরতে চললেও কেন মানিকতলায় উপনির্বাচন ঘোষণা করা হল না, তাই নিয়ে এবার সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
advertisement
আরও পড়ুন: সুদীপের 'গেট টুগেদারে' ব্রাত্য 'তাপস'! উত্তরের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতিই গরহাজির পিকনিকে?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র যে বিধায়কশূন্য় অবস্থায় রয়েছে, রাজ্য় সরকারের পক্ষ থেকেই তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'সাগরদিঘির জন্য় এক নিয়ম, আর মানিকতলার জন্য় এক নিয়ম এটা তো হতে পারে না। বিধায়ক না থাকলে সেখানে ভোট হয় বলেই আমরা জানি। আৎ সেটা ছ' মাসের মধ্য়েই করতে হয়।'
গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্য়ু হয়েছিল মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডের। সেই হিসেবে তাঁর মৃত্য়ুর পর এগারো মাস কেটে গেলেও উপনির্বাচন কেন হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সাধন পাণ্ডের মৃত্য়ুর পরে দেশের বিভিন্ন রাজ্য়ে উপনির্বাচন হয়েছে। গুজরাত, হিমাচলে বিধানসভা ভোটের সময়ও উপনির্বাচনের সুযোগ ছিল। আবার আগামী মাসে উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য়ে ভোট রয়েছে। কিন্তু রহস্য়জনক ভাবে কোনও ক্ষেত্রেই মানিকতলায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
প্রার্থী পদ নিয়ে নিজেদের দলীয় কোন্দলের কারণেই তৃণমূল মানিকতলায় উপনির্বাচন ঘোষণা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই কারণেই রাজ্য় সরকারের পক্ষ থেকেও মানিকতলায় উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও কিছু জানানো হচ্ছে না।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর দাবি, 'তৃণমূল সব জায়গাতেই ভোট চায়। মানিকতলা নিয়ে সম্ভবত হাইকোর্টে কোনও মামলা চলছে। তবে এ বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল যে কোনও নির্বাচনে মোকাবিলা করার জন্য় তৈরি।'