রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিশু মৃত্যু নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সরকারি হাসপাতালে বেডের আকাল। যেভাবে শিশু মৃত্যু নিয়ে অসত্য তথ্য সরবরাহ করছে স্বাস্থ্য দফতর, তা এককথায় নিন্দনীয়। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি যে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিশু মৃত্যু ঠেকাতে ব্যর্থ।’’
advertisement
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এও বলেন, ‘‘ প্রতিদিন শিশুমৃ ত্যুর ঘটনা লেগেই রয়েছে। মৃত্যু ঠেকানোর কোনও পরিকাঠামো সরকারের নেই। আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে কোনও বিভাজনের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই সংঘবদ্ধভাবে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলে পরিস্থিতির সামাল দিক।’’ বলা বাহুল্য, রাজ্য সরকারের তরফে বেড বাড়ানো থেকে আরম্ভ করে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও শিশু মৃত্যু পুরোপুরি ঠেকানো এখনও পর্যন্ত সম্ভবপর হয়নি। এই নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিঘ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে গোটা রাজ্য। বি সি রায় শিশু হাসপাতাল-সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের।
আরও পড়ুন- রাশিফল ৪ মার্চ; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
সূত্রের খবর, বেসরকারি মতে গত জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও শিশু মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। শিশুর শরীরে দানা, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনেরও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন এ ব্যাপারে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড আছে কি না। শিশুদের চিকিৎসায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যাতে কোনও রকমের গাফিলতি না করা হয়, তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।
জেলার হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগানের বি সি রায় শিশু হাসপাতালে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। লাগাতার শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি হাসপাতালের সুপারের সঙ্গেও দেখা করে শিশুদের চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় সরকারি যে সমস্ত হাসপাতালগুলি রয়েছে যেমন রেল, সেনা হাসপাতাল-সহ অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনে শিশুদের চিকিৎসা সেখানে করার পরামর্শ দেন বিজেপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।