নিজের গানের দল ‘হুলিগানইজম’-এর গানের সংলাপে ছিল, “ভাই, এসআইআর কী বলছে? ঝাড়াই-বাছাই চলছে।” খানিক সেটাই সত্যি হল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, সদ্য শেষ হয়েছে, ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন-এর প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু, সেই ঝাড়াই-বাছাইয়ের পর্বে তাঁর নামও জড়িয়ে যাবে তা কি কখনও ভেবেছিলেন অনির্বাণ? বাস্তবে এনিউমেরশন ফর্ম পূরণ শেষে সেই গানের কথাগুলোই যেন সত্যি হয়ে গেল।
advertisement
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এনিউমেরশন ফর্মে ২০০২-এর কোনও লিঙ্ক অনির্বাণ উল্লেখ করতে পারেননি। ফলে জানুয়ারির শুরুতেই উপযুক্ত ‘নথি’ নিয়ে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে অভিনেতাকে। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ বলছেন, “ভোটার তালিকায় তো আমার নাম রয়েছে। তবুও শুনানিতে ডাকা হলে নিশ্চয় যাব। নথিও দেখাব।”
প্রসঙ্গত, অভিনেতা অনির্বাণ-এর জন্ম ১৯৮৬ সালের ৭ অক্টোবর মেদিনীপুরে। তাঁর বাড়ি রয়েছে সেই শহরের শরৎপল্লীতে। এখন অবশ্য মা এবং বোনকে নিয়ে কলকাতার গড়িয়ার বাড়িতে থাকেন তিনি। কিন্তু, কলকাতায় এলেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরে। ওই শহরের পুরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের ২৯৯ নম্বর বুথের ভোটার তিনি।
এসআইআর শুরু হতেই শরৎপল্লীর বাড়িতেও এনিউমারেশন ফর্ম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) সেই ফর্মও পূরণ করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু, ২০০২-এর তালিকায় অবশ্য তাঁদের সকলেরই নাম রয়েছে। তাঁর বাবা প্রদ্যোৎকুমার গত ৬ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অভিনেতা, পরিচালকের বাবা। গড়িয়ার বাড়িতেই মারা যান তিনি। অভিনেতা বলেছেন, ‘গোটা
বিষয়টি আমার জেঠু দেখছেন।’
এই প্রসঙ্গে আবার অভিনেতার জেঠু বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০০২ সালে অভিনেতার বাবা কেন ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি। ওই সময়ে বাবা-মা অর্থাৎ অনির্বাণের দাদু-ঠাকুমার মৃত্যু হওয়ায় ২০০২-এর তালিকায় তাঁদের নামও ছিল না। তিনি বলেন, “আমি এলাকার তিনটি বুথের তালিকা দেখেছি। কিন্তু, ভাইয়ের নাম খুঁজে পাইনি। সে সময়ে তো এত জটিলতা ছিল না।” তালিকায় অবশ্য তাঁর জেঠু বিদ্যুৎ ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে।
এরপরেই তিনি জানতে পারেন খসড়া তালিকায় নাম থাকলেও শুনানিতে ডাকা হবে অনির্বাণকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতার জেঠু বলেন, “আমরা এখানকার আদি বাসিন্দা। এর মধ্যেই বিএলও-এর সঙ্গেও কথা বলেছি। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ বলেন, “আমি এখন মা-বোনকে নিয়ে কলকাতায় থাকি। শুনানিতে ডাকলে সকলেই যাব।”
জানা গিয়েছে, অনির্বাণের পাসপোর্ট-সহ একাধিক নথি রয়েছে। ফলে, সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছেন অভিনেতা।
