রাহুল জানান, "বর্তমানে আমরা একটা স্বৈরাচার অন্ধকার পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দিনের পর দিন গা-জোয়ারি যে জায়গায় যাচ্ছে, তা অসময়কে চিহ্নিত করে। প্রথমে শাসক দল বইকে ভয় পাচ্ছিলেন, শিক্ষকদের ভয় পাচ্ছিলেন। আর এখন তা ডাক্তারদের উপর নেমে এসেছে। মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের দাবি নির্বাচনের। কিন্তু ভোট আবার কী? আমরা যাকে দাঁড় করাব, সেটাই ফল, এমন মানসিকতার যাঁরা রয়েছে, তাঁদের কাছে এটা অনার্য একটা দাবি। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সর্বশেষে জয়ী হয়। তাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা অনশনে বসেছেন। তাঁদের শরীর ভেঙে আসলেও মনোবল এখনও ভাঙেনি। এখন দেখা যাক, এই অন্যায়টা কতদূর গড়ায়! কতদূর জল গড়াইয়ের!"
advertisement
অন্যদিকে পড়ুয়াদের সমর্থন জানিয়ে সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লেখা পোষ্ট করেছিলেন অপর্ণা সেন। বর্তমানে তাঁদের যে অবস্থান তাতে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। এমনকী কিছুদিন আগে পাশে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন নাট্যকার কৌশিক সেনও।
অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন নিয়ে এখনও জট কাটেনি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক হলেও এখনও মেলেনি রফাসূত্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দেন অভিভাবকরা। অনশন আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। একবার অধ্যক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁরা জানান আজকেই মীমাংসা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন, 'আমি তো ওকে রাখি পরাই', ২৮তম চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে মমতা , শাহরুখ
পরবর্তীকালেই স্বাস্থ্যভবনে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন, 'পাঠান বিতর্ক!' শাহরুখ বললেন, 'নেতিবাচকতাই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ায়'
বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ জানান, "আলোচনা চলছে। কথা তো আর বন্ধ করা যাবে না। সেই বিষয়ে আলোচনা করে গেলাম। সমস্যা মেটানোটা আমাদের কলেজ কাউন্সিলের হাতে নেই। নির্বাচন হবে না, এমনটা তো আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানায়নি। একেবারে পুরোপুরি যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, তার জন্যই এই আলোচনা করা।"
