ঘটনার পর এলাকায় মুহূর্তে ভিড় জমে যায়। ‘একেন বাবু’ চরিত্রে অভিনয়ের জেরে অনির্বাণ চক্রবর্তী বাংলার দর্শকদের কাছে এক পরিচিত মুখ। তাঁর গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটতেই প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্বেগে ছুটে আসেন। অভিনেতা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অনির্বাণের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তিনি আঘাত পেয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে পুলিশের তরফেও এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য মেলেনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
লক্ষণ দেখেও ফেলে রাখার ফল! ফুসফুসের ক্যানসার কখন ধরা পড়লে সারে? জানাচ্ছেন চিকিৎসক
বেড়েই চলেছে দাম! আজ ৫ লক্ষ টাকার সোনা কিনলে ২০৩০ সালে তার দাম কত হবে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন
অভিনেতার সঙ্অগে যোগাযোগ করা হলে অনির্বাণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর গাড়ির চালক সুস্থ আছেন। আজ সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ টালিগঞ্জ ব্রিজের নীচে ঘটেছে ঘটনা। আচমকাই একটি গাড়ি চলে আসে তাঁর গাড়ির সামনে। সেটাকে বাঁচাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। বাসের চালক খুবই উদ্ধত আচরণ করেছেন তাঁর সঙ্গে। বাসের চালক দোষটা সম্পূর্ণ অনির্বাণ চক্রবর্তীর গাড়ির চালকের ঘাড়েই দিয়েছেন। বাসচালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অনির্বাণ তাকে আটকায়।চারুমার্কেট থানায় FIR করেছেন তিনি। প্রশাসন যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির সামনের অংশ অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়ির চালকের কিছু হয়নি। কিন্তু গাড়ির যা ক্ষতি হয়েছে, তা রাস্তায় চালানোর মতো অবস্থায় ছিল না। সেই জন্য পুলিশের গাড়ি তাঁকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
অনির্বাণের নাম বললেই প্রথমেই ভেসে ওঠে একেন বাবু। রহস্যময়, অদ্ভুত, অমায়িক, আবার অপ্রত্যাশিত বুদ্ধির ঝলকে ভরপুর—এই চরিত্রকে প্রাণ দেওয়ার কাজটা তিনি যেভাবে করেছেন, সেটা আসলে বাংলার ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যাপটাই বদলে দিয়েছে। OTT-র যুগে বাংলা কনটেন্টকে নতুন চেনা-পরিচয় এনে দেওয়ার পিছনে অনির্বাণের অভিনয় একটা মাইলফলক।
বাংলা ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম, সিনেমা—যেখানেই তিনি থেকেছেন, পর্দায় তাঁকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তিনি ‘সাইড ক্যারেক্টার’ নন—তিনি স্ক্রিন-স্টিলার। ছোট চরিত্রকে নিজের মতো করে মাটি থেকে তুলে এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার তার ক্ষমতাই তাঁকে আলাদা করে। অনির্বাণ থিয়েটারেও জনপ্রিয় মুখ। থেকে ক্যামেরায় যাওয়া অনেকেই পারেন না—কিন্তু তিনি সেই দলে না। তাঁর ডায়লগ ডেলিভারি, শরীরী ভাষা, মৃদু হিউমার—সবেতেই তিনি নজরকাড়া।
