প্রোমোটররাজ। জোর করে জমি দখলের মরিয়া চেষ্টা। নিজের প্রজেক্টের জন্য রাস্তা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে অন্যের জমি জবরদখল। রাজি না হওয়ায় চাপ, প্রাণে মারার হুমকি। শেষে আক্রোশ মেটাতে অ্যাসিড হামলা। বারুইপুরে চলন্ত ট্রেনে তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলায় সামনে আসছে এমনই তথ্য।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কল্যাণপুরে এগার কাঠা জমি। জমির একটা অংশ নিয়েই প্রোমোটরদের সঙ্গে আক্রান্তের পরিবারের গণ্ডগোল।
advertisement
আক্রান্তর পরিবারের অভিযোগ----
----এলাকায় জমি কেনা-বেচা করে প্রোমোটর স্বরূপ হালদার ও তার সহযোগীরা
-----নিজেদের প্রজেক্টের জন্য রাস্তা বাড়াতে চায় তারা
-----আক্রান্তের পরিবারের জমি সেই রাস্তায় পড়ায় তাঁদের উপর নজর পড়ে প্রোমোটরদের
------জমির একটি অংশ রাস্তার জন্য দিতে চাপ দেয় তারা
-----রাজি না হওয়ায় দেওয়া হয় চাপ, হুমকি
----বোমাবাজিও করা হয় বাড়িতে
-----পুলিশে অভিযোগ করেও ফল হয়নি
-----প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের
-----জোর করে আক্রান্ত তরুণীর জমির উপর বালি ফেলার কাজও শুরু হয়
সেই ঘটনার জেরেই মেয়ের উপর আক্রমণ । দাবি আক্রান্ত তরুণীর বাবার।
পরিবারের অন্য সদস্যদের বাদ দিয়ে, শুধুমাত্র তরুণীর উপর কেন আঘাত ? সুন্দরের উপর আঘাত করে নিজের আক্রোশ চরিতার্থ করার অপরাধমনস্কতা থেকেই এই অ্যাসিড হামলা । বলছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় ফের সামনে এল সেই প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধ সত্ত্বেও কিভাবে অবাধে মিলছে অ্যাসিড? অ্যাসিড হামলার একের পর এক ঘটনা প্রমাণ করছে সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধ অমান্য করেই দেদার বিকোচ্ছে অ্যাসিড। আর তার জেরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে কল্যাণপুরের তরুণীর মত আরও অনেককে।