এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি শান্তিনিকেতনে গিয়ে রুজিরা নারুলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এছাড়াও, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর স্বামী ও শ্বশুড়কেও। এবার একেবারে অভিষেককেই তলব করেছে ইডি। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। এদিন অভিষেক বলেন, 'যে কোন তদন্তের সামনা-সামনি হতে প্রস্তুত আমি। কিন্তু জনসমক্ষে কেন কিছু আনছেন না। কেন কলকাতার ঘটনায় আমাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে? তবে আমি যাব দিল্লিতে। আমি যাচ্ছি।'
advertisement
আরও পড়ুন: বিষ খাওয়া পাঁচ শিক্ষিকা গেলেন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে! যা ঘটল, অভাবনীয়...
এরপরই বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে অভিষেক সংযোজন করেন, 'হেরে গেছে বলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতিতে নেমেছে এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে পিছনে রেখে রাজনৈতিক চরিতার্থ করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই আমি বিজেপি নেতাদের। তাঁদের বলব আপনাদের যে কোনও নেতা আসুন না আমার সাথে যে কোন চ্যানেল ঠিক করুন, আমার সঙ্গে বসুন, কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা পাঁচ বছরে কীভাবে কাজ করেছে, ভারতবর্ষের কী করুণ পরিণতি সাত বছরে আপনাদের শাসন কালে, আমি যদি তা প্রমাণ করতে না পারি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না।'
ফের একবার তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রমাণ জনসমক্ষে আনার দাবি তুলেছেন অভিষেক। বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যদি কোন কিছু থাকে আপনারা জনসমক্ষে আনুন, যখন হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে নির্লজ্জভাবে, তখন সিবিআইয়ের চোখে ছানি পড়ে যায়, টিভির পর্দায় যাদেরকে কাগজ মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেন যাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছে, তারা বড়বড় কথা বলছেন।'
চ্যালেঞ্জের সুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংযোজন করে দেন, 'তৃণমূলকে এইভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। ১ ইঞ্চি মাথানত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যেতে পারি, আমরা আর যাই হোক শিরদাঁড়া বিক্রি করব না।'