বাংলার ঘটনায় দিল্লিতে তলব কেন! জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক কলকাতায়, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিষেক। শেষমেষ সুপ্রিম কোর্ট আবেদনে সাড়া দেয়। আজ কলকাতার ইডি দফতরে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে আসছেন তদন্তকারীদের বিশেষ দল।
আরও পড়ুনঃ বদলে গেল 'প্রোফাইল'! রেড রোডের শোভাযাত্রার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় 'বড়' বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
advertisement
শুক্রবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় সিজিও চত্বর। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিশাল সংখ্যক পুলিশের বাহিনী। সিজিও-র ভেতরে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৩ জুন কয়লা পাচার মামলায় ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় নেতা এবং কর্মীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান সত্যি প্রমাণিত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে হাজিরার নোটিস পেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার বেলা ১১'টায় কলকাতা ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয় তাঁকে। ফলে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি তৃণমূলের।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘অভিষেক প্রতিহিংসার রাজনীতির টার্গেট। এ তো বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা থেকেই প্রমাণিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি ভয় পায়, তাই বার বার তাঁকেই আক্রমণ করে।" ৩০ অগাস্ট সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিস পান অভিষেক। নোটিসে বলা হয়, রাজ্যে কয়লা পাচারের অভিযোগের যে তদন্ত করছে ইডি, সেই সূত্রেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। ফলে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১'টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে হাজিরা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষা-সংবিধান-দেশ বাঁচাতে লড়বে SFI, একান্ত সাক্ষাৎকারে গর্জে উঠলেন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য
তবে, এমন কিছু যে একটা হতে চলেছে, সেই আশঙ্কা ২৪ ঘণ্টা আগেই করেছিলেন অভিষেক। ২৯ অগাস্ট তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমার কথা লিখে নিন, আজকের এত বড় সভার পর, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওরা আবার কিছু একটা করবে।’’ ছাত্র সমাবেশের বক্তৃতায় তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘এই তো আজকের সভায় অভিষেক খুব ভাল বক্তৃতা করেছে। এ বার হয়তো আজ অথবা কাল ওকে কোনও সংস্থা নোটিস ধরাবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘অভিষেককে তো আগেও দু’বার নোটিস ধরিয়েছে। এমনকি, নোটিস ধরিয়েছে ওর বউকেও। কিন্তু এ বার তো মনে হয় ওর দু’বছরের ছেলেকেও নোটিস ধরাবে। ওকেও নোটিস ধরিয়ে দেখুক দু’বছরের ছেলেটাও কতটা শক্ত হয়েছে।’’ বস্তুত, মমতা এবং অভিষেকের অনুমান সত্যি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিষেকের কাছে নোটিস এসেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার।
কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই দিল্লি থেকে বিজেপির নেতারা এসে আমাদের তরুণ নেতাদের টার্গেট করছেন। ওনারাই যে ভাবে বলে দেন, এর পর ওঁর বাড়ি, তার পর তাঁর বাড়ি, তাতে তো বোঝাই যায় যে বিজেপি নেতারাই এইসব করাচ্ছেন।’’
ABIR GHOSHAL