সেখানে দিন দুয়েকের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তারপর ফিরবেন কলকাতায়। চলতি সপ্তাহেই অভিষেকের গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে ত্রিপুরায় ভোটের ফল, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক এবং মুম্বাইতে মমতার সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য গোয়া যেতে পারেননি। তবে ১৩ তারিখ তাঁর গোয়া যাওয়ার খবর নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শেষমেষ সেই সফরে যোগ দিতে পারেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। আর তা হলে এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় গোয়া সফর হবে বিধানসভা ভোটের আগে।
advertisement
এই মুহূর্তে ত্রিপুরার বাইরে পশ্চিম ভারতের সৈকত রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার শাসকদল। ইতিমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় ঘুরে এসেছেন। তাঁর হাত ধরে সেখানে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন খ্যাতনামা টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, অভিনেত্রী নাফিসা আলি। গোয়া থেকে দলকে শক্তিশালী করেই ফিরেছেন মমতা। পরে অবশ্য তিনি গোয়ায় সংগঠন তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য সাংসদ মহুয়া মৈত্রর হাতে।
আরও পড়ুন: BJP-র বড় বিড়ম্বনা বিদ্রোহী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উল্টে 'ফতোয়া' সংবাদমাধ্যমের উপর!
দায়িত্ব পেয়েই গোয়ার মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। নিয়মিত কর্মিসভা, স্ট্র্যাটেজিস্ট বৈঠক করছেন। তাঁর হাত ধরেও তৃণমূল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন আরও অনেকে। শোনা যাচ্ছে, গোয়ার একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিওকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছে দল। পাশাপাশি দলে তাঁকে সাংগঠনিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের গোয়া সফর হতে চলেছে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গোয়ায় নতুন সংগঠন তৈরির খুঁটিনাটি দেখে নেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। গত নভেম্বর মাসেই অভিষেকের তিনদিনের সফরে গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেসময় দলের অন্য কাজ পড়ায় সফর স্থগিত রাখা হয়। এবার ১৩ ডিসেম্বর স্থগিত থাকা সেই সফরের জন্য নতুন কর্মসূচি ঠিক করেছে দল।
আরও পড়ুন: কলকাতার ৩ ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'দলেরই প্রার্থী'! বিড়ম্বনা বাড়ছে ঘাসফুলে
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, মমতার সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী চার্চিল আলেমার সঙ্গে আগে কথা বলতে পারেন। অভিষেকের নেতৃত্বে গোয়ায় আরও কেউ তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। এর পাশাপাশি প্রচারে কোন কোন ইস্যু তোলা হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক দল তাদের সাথে কোনও সমঝোতা হবে কিনা। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী কে হতে চলেছেন এর সবটাই অভিষেকের সফরে উঠে আসতে পারে।