শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ এসএসকেএমে ঢোকেন অভিষেক৷ দেখা করেন আহত তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে৷ ট্রমা কেয়ার সেন্টারে আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তারপরে যান উডবার্ন ব্লকে। সেখানেও এক তৃণমূল কর্মী ভর্তি রয়েছেন বলে খবর।
আহত কর্মীদের দেখে বেরিয়েই হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরেই বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে ধেয়ে আসে একের পর এক তোপ৷ অভিষেক বলেন, ‘‘গতকাল নন্দীগ্রামে ভেকুটিয়া আর বয়ালে বিজেপির একাংশের মদতে সন্ত্রাস হয়েছে। ১৪ জন সহকর্মী কলকাতায় এসেছেন। তাদের দেখতে এসেছিলাম। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকেও দেখলাম। পায়ের মাটি সরে গেছে বিজেপির।’’
advertisement
অভিষেকের অভিযোগ, লড়াই করতে না পেরেই অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। এমনকি, মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে খুন-ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, স্বামী, স্ত্রী তো বটেই, তাঁদের ছোট শিশুকেও মারধর করা হয়েছে। বয়ালে জেতা সদস্যকে, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়েছে। অভিষেক জানান, তিনি ২০ জনের নাম নিয়েছেন। সেই নামগুলি মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন।
শুধু তাই নয়, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে এদিন বিচারব্যবস্থার প্রসঙ্গও তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এটা অনেকের প্রশ্ন? আসলে হাইকোর্ট এদের নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে৷ পুলিশ প্রশাসনের হাত বেঁধে দিয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নিতে দিচ্ছে না। এমন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে আগামিদিনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।’’
আরও পড়ুন: হাতে মাত্র সাত দিন! একুশের মঞ্চেই পঞ্চায়েতের বিজয় যাপন, ময়দানে নামলেন অভিষেক
এরপরেই অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর নাকি বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি? সেখানে পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই এত সন্ত্রাস। অনেকে এখনও ঘরছাড়া। আমাদের প্রতিনিধি দল গেছে৷ বিজেপিকে বলব, সন্ত্রাস করে ভোটে জেতা যায় না৷ ২০২৪ সালে ভোট শতাংশ দেখবেন ৫৬ হবে। কে শুভেন্দু? কে দিলীপ? কে সুকান্ত? জেলা পরিষদ, জেলা, বুথ, নিজের দত্তক গ্রাম হেরেছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, নিজের বুথে হেরেছেন। এমন বিজেপির নেতা থাকুক। এরা আমাদের লক্ষ্মী।’’
শুধু বিজেপি নেতাদেরই নয়, এদিন রাজ্যপাল প্রসঙ্গেও মন্তব্য করতে দেখা যায় অভিষেককে৷ বলেন, ‘‘এই যে ১৪ জন আহত। রাজ্যপাল খোঁজ নিয়েছেন? ব্যবস্থা নিতে বলবেন? বিজেপি করলেই বিচার ব্যবস্থার ওপরে নাকি?’’
সবশেষে পঞ্চায়েতের ফল নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করে অভিষেক জানান, তৃণমূলের ভোট বেড়ে ৫২% হয়েছে। মানুষ রাত অবধি দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন৷ ঝাড়গ্রামে ১০০% জিতেছে তৃণমূল। ৬০ হাজার বুথে ৬০’টা ঘটনা ঘটেছে। বিরোধীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ৭০০ বুথে রিপোলিং হয়েছে। মানুষ নির্ভয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন।