অগাস্ট মাসের দ্বিতীয় দিনেই মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নিয়ে বৈঠক করা হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী করলেন এই বৈঠক। বৈঠকে হাজির থাকছেন দলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়করা৷ এর মধ্যে দুই জেলায় সাংগঠনিক স্তরে বদল এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
রাজ্যে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পর বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। এরই মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় প্রতিদিন বিজেপি ও বামেরা রাজনৈতিক আক্রমণ শানাচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। পাল্টা রাজনৈতিক অবস্থান বজায় থাকলেও, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে আগামী দিনের দিকে লক্ষ্য রাখছে শাসক দল।
আরও পড়ুন: জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে কি মুক্ত হল পার্থ ছায়া?
তাই এই বৈঠক থেকে কথা বলে একদিকে যেমন দায়িত্বপূর্ণ নেতাদের সাংগঠনিক শক্তি বুঝে নেওয়া হবে, অন্যদিকে ব্লক স্তরে সংগঠন ঢেলে সাজানোর জন্যেও চলছে আলোচনা। তাই রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়েই এই বৈঠকে বসছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন জেলাতেই খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। বিধানসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়ালেও এই সব জেলার বেশ কিছু আসন হাতছাড়া হয়েছে জোড়া ফুল শিবিরের। বিশেষ করে এবার নজরে এসেছে মালদহ জেলা। যেখানে বিধানসভা নির্বাচনেও দারুণ ফল করেছে তৃণমূল।
যে সব আসন এই তিন জেলায় হাতছাড়া হয়েছে, তার পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে বলেই মনে করছে তৃণমূল। তাই একেবারে নিচু স্তরে গিয়ে যাঁরা কাজ করবেন সেই ব্লক স্তরের নেতাদের আরও দায়িত্বশীল করতে উদ্যোগী হচ্ছে তৃণমূল। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনসংযোগে দক্ষ, কাজ করার মানসিকতা আছে এমন কাউকেই সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই বৈঠক সাংগঠনিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেলার নেতাদের কলকাতায় ডেকে রিপোর্ট কার্ড বুঝে নিতে চলেছে দল।