এদিন অভিষেক বলেন, “আমাকে চার পাঁচবার ডাকা হল। কিন্তু যাকে টাকা নিতে দেখা গেল সে ডাক পায়না। আমি বশ্যতা স্বীকার করিনি তাই এই বারবার ডাক। দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকব না, রয়্যাল বেঙ্গল হয়ে মাথা উঁচু করে মরা ভাল। আমি পরশু থেকে আবার বাঁকুড়া দিয়ে শুরু করব৷ আমার জ্বর হয়েছে, আমার হাত কেটে গেছে, শারীরিক অসুস্থতা হয়েছে তাও আমি থামিনি। সুপরিকল্পিত ভাবে, মজ্জাগত হয়ে গেছে এদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি।”
advertisement
অভিষেক আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস তো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে। বাকি দলেরা কি সেটা করেছে? কুন্তল ঘোষ চিঠি লিখেছে বলে আমাকে ডাকা হয়েছে৷ সুদীপ্ত সেন তো চিঠি লিখেছে অধীর-শুভেন্দুর নাম লিখেছে। তাদের তো ডাকা হচ্ছে না। তাহলে আমাকে ডাকা হচ্ছে, ওদের কেন নয়? আসলে আমি তৃণমূল কংগ্রেস বলে আমার নিয়ম আলাদা। ওদের নিয়ম আলাদা।”
এদিন তিনি বলেন, “প্রথম দিন থেকে এদের টার্গেট হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের কাজ হচ্ছে কীভাবে ধমকে চুপ করা যায়। নবজোয়ার যাত্রার ছবি বিজেপির হজম হচ্ছে না। সেই কারণে এই ৬০ দিনের কর্মসূচিকে কীভাবে আটকানো যায়, তাই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে। আমি ভারতের নাগরিক। যে কোনও এজেন্সিকে পূর্ণ সহযোগিতা করা। আমাকে যখন নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তখন আমি বাঁকুড়ায়। এই রাজনৈতিক চক্রান্তগুলো মানুষ এখন ধরে ফেলেছে। যখন হাইকোর্টের অর্ডার এসেছিল, তখন আমি জানিয়েছিলাম আমাকে ডাকলে আমি যাব।”
আরও পড়ুন, সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষ, অবশেষে সিবিআই দফতর থেকে বের হলেন অভিষেক
আরও পড়ুন, ফের কর্ণাটকের মসনদে সিদ্দারামাইয়া, বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, “আমি সিবিআইকে দোষ দিই না। সিবিআই নিরপেক্ষ তখনই হবে৷ যখন সুদীপ্তর চিঠির ভিত্তিতে ওদের ডাকা হবে। টাকা নেওয়ার ভিডিও তো মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। আমি আমার অবস্থা থেকে সরিনি। আমি লড়াই করা লোক।”