অভিষেক বলেন, “আজ বহু মিছিল ঢুকছে। জায়ান্ট স্ক্রিনে সবাই দেখতে পাবেন। গতকাল বলেছিলাম, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী কলকাতায় আসছেন। আজ তাই হল। আমি তারিখ ধরে ধরে ভবিষ্যৎ বাণী করিনা। তবে করলে তা মেলে। আমাদের আজ বিশাল জয়। যে মন্ত্রীর পুলিশ আমাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়েছিল বার করে দিয়েছিল। সেই মন্ত্রী কলকাতায় এল। বিজেপির পার্টি অফিসে বসে তিনি সভা করছেন। মানে কি? আমাদের সেখানে যেতে হবে। আমরা বলেছিলাম রাজভবনে দেখা করুক। আমাদের প্রতিনিধিরা যাবে। এখন যদি আমি বলি, নবান্ন নয়, তপসিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে এসে বৈঠক করতে হবে। দেখা করতে হবে, তখন কি হবে?”
advertisement
এর পরেই সুকান্তকে আক্রমণ করে অভিষেকের তোপ, “শুভেন্দু অধিকারী বললেন টাকা বন্ধ করে দেব। সুকান্ত মজুমদার বললেন ফোন করলে টাকা চলে আসবে। ক্যামেরার সামনে তিনি বলছেন, ফোন করলে টাকা আসবে।
আমি রাজীবদাকে জিজ্ঞাসা করছিলাম যে তুমি তো বিজেপিতে গিয়েছিলে, তোমার কাছে নম্বর আছে। উনি বললেন, নম্বর আছে কিন্তু এখন ব্যবহার করেন কিনা সেটা জানি না। আমি বললাম যে সেই নম্বরটা সবাইকে জানাও। ২০ লাখ শ্রমিককে যাঁদের টাকা আটকে রেখেছে, তাদের আমি অনুরোধ করব, রাজীবদা সেই নম্বরটা আপনাদের জানাবে। সবাই এই নম্বরে ফোন করবেন। আমার অনুরোধ থাকল, বাংলার সংস্কৃতি বজায় রেখে কেউ কোনও অপশব্দ বা কুকথা বলবেন না। ভদ্র ভাবে কথা বলবেন। মার্জিত ভাবে বলবেন। ফোনে বলবেন, আমাদের টাকাটা আপনি ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।”
আরও পড়ুন, পুজোয় যাত্রীদের জন্য সুখবর! মেট্রো চলবে মাঝরাতেও, জানুন শেষ ও প্রথম মেট্রোর সময়
আরও পড়ুন, ‘বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা’, এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা
অভিষেক আরও বলেন, “সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে বলব, দু-আড়াই মিনিট দূরে রাজভবন। সেখানে আসুন বৈঠক করুন। ৯৬ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলেন রাজ্যে। বাংলার কাছে মাথা নীচু করতে হল। ফোনে কথা বলবেন। আর একটা ফোনে রেকর্ড করে দিন। সেটা ফেসবুকে দিন। ভাল ভাবে কথা বলবেন। সম্মানীয় সুকান্ত বাবু বলে কথা বলুন।”