এদিন সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে খানিক বক্রোক্তির সুরেই বিরোধী দলগুলিকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে বললেন, “নাটক করার অন্য অনেক জায়গা রয়েছে। এখানে (সংসদে) পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এসেছে বিহার নির্বাচনের প্রসঙ্গও। সেই সূত্রেই বিরোধী দলগুলিকে মোদীর পরামর্শ, হারের হতাশা কাটিয়ে জনস্বার্থে কাজ করুন।
advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ডেলিগেশন পাঠিয়েছিলাম। আমাদের পাঁচ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। আমাদের কাছে ডিজিটাল এভিডেন্স আছে। ইসি’কে চ্যালেঞ্জ করছি, তিন সপ্তাহ সময় নিন। উত্তর দিন। তারপর আমরাও আদালতে নিয়ে যাব। আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছে। আমাদের আস্থা আছে মানুষের উপর। বিরোধীদের আস্থা ইডি, সিবিআই, ইসি-র ওপর। এটা বাংলা। গলা চেপে ধরবে। তোমরা বাংলার গলা এতদিন চেপে ধরেছো। এবার বাঙালির সময় আগামী ছয় মাস গলা চেপে ধরবে।
আমরা বলিনি এক কোটি নাম বাদ যাবে। বলেছে বিজেপি। ভয়,ভীতি, আতঙ্ক (শুভেন্দু, শমীক, সুকান্ত, শান্তনু ঠাকুর, অসীম সরকার এর ভিডিও মোবাইলে চালিয়ে) কারা করেছে? এরা ভবিষ্যৎ বাণী করেছে। বিজেপির বুথে লোক নেই। তাই আলাদা অর্ডার করেছে বুথ লেভেল এজেন্টকে, বিধানসভা থেকে নেবে। আমার বুথে লোক নেই, আর আমি দায়ী করছি তৃণমূল কংগ্রেসকে। ধমকাবেন চমকাবেন না। মাথা নত করব না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘চিন্তা করবেন না। বিকল্প টাকার ব্যবস্থা আমরা করব (আবাস, ১০০ দিনের কাজ)। আমাদের সরকার ব্যবস্থা করে টাকা দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমরা দিই। আমাদের সরকার কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া এটা করেছে। আমাদের ভরসা মানুষ। ওরা টিভির পর্দায় আছে, কমিশনে আছে। আমরা আছি মানুষের সঙ্গে। SIR চলছে, কোন বিজেপি নেতাকে দেখেছেন সাহায্য করতে? বিজেপি মানুষের সঙ্গে নেই। ওরা বাংলার মানুষকে টাইট দিতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে গিয়ে মানুষকে শিক্ষা দিতে চাইছে।’’
প্রধানমন্ত্রীর এহেন আক্রমাণাত্মক মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা বিরোধীদের মধ্যে। সোমবার মহেশতলায় সেবাশ্রয় শিবিরের উদ্বোধনে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বলেন, “এসআইআর ৪০ জনের প্রাণ কেড়েছে। সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে নাটক বলে মনে হয়? কমিশন কেন এত তাড়াহুড়ো করছে? কেন্দ্র কেন জবাব দেবে না? মানুষের মৃত্যুকে ড্রামা বলে দাগিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। আসলে সবাই বুঝতে পারছে কে নাটক করছে।” মোদিকে পালটা জবাব দেওয়ার পাশাপাশি অভিষেক চ্যালেঞ্জ করেছেন নির্বাচন কমিশনকেও। কোর্টে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
