অভিষেক জানিয়েছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা এই কর্মসূচির নাম হবে বাংলার সমর্থনের সংযোগ৷৷ প্রচারে রাজ্য জুড়ে সমাজে প্রভাবশালী এমন ১৮০০ জনকে ব্যবহার করা হবে৷ গত ১৫ বছর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড এই প্রভাবশালী বা ইনফ্লুয়েন্সারদের হাতে তুলে দেবেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা৷
দলের নেতাদের উদ্দেশে এ দিন অভিষেক স্পষ্ট বলেন,’ এটা যুদ্ধের সময়, ১ মিনিট বিশ্রাম নিলেই বিরোধীরা আক্রমণ করবে। তখন আটকানো যাবে না৷ কোনও শিথিলতা নয়। বিরোধীরা কতটা নীচে নামতে পারে দেখেছেন তো।নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের কড়া নির্দেশ, মানুষের সাথে কথা বলার সময় কোনও ঔদ্ধত্য নয়। মানুষের ব্যবহার মানুষের পরিচয়। আপনার ব্যবহারে যেন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামকে যেন দেখতে পায়। একই সঙ্গে অভিষেকের নির্দেশ, বিরোধী দলের সমর্থকদের বাড়িতেও উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দিতে হবে৷’
advertisement
একই সঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রতিটি জেলায় একজন করে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হবে৷ কো-অর্ডিনেটরদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে অভিষেক বলেন, কো-অর্ডিনেটর জেলা ভিত্তিক দেওয়া হবে। বাস্তবে এই জনসংযোগ কাজ কতটা হচ্ছে সেটার চোখ-কান হিসাবে কাজ করবেন তাঁরা। জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান তাদের মতো কাজ করবেন। জেলা কো-অর্ডিনেটর বাকিটা দেখবেন। আমি নিজে ২ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি এর সঙ্গে সঙ্গে।’
এর পাশাপাশি এ দিনের বৈঠকে দলের বিএলএ-দের ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অভিষেক৷ তৃণমূলের বিএলএ-২ দের কাছে অভিষেকের পক্ষ থেকে উত্তরীয় এবং চিঠি পাঠানো হবে৷ দলের তরফে নোট বুক ও ক্যালেন্ডারও পাঠানো হবে৷ অভিষেক বলেন, ‘বাংলার মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তারা। এদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করবেন।’ একই সঙ্গে অভিষেকের নির্দেশ, ভোটের আগে প্রচার চলাকালীন হোটেলে নয়, দলের কর্মীদের বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া সারতে হবে দলের নেতাদের৷
এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৈরি করে দেওয়া স্লোগানের পাল্টা স্লোগানও বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক৷ বাংলায় সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই স্লোগান তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন৷ পাল্টা অভিষেক এ দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন, ‘বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই’- এই চার শব্দের মধ্যে অনেক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। বাঁচাতে চাই মানে মারতে চাই। তাই আমাদের বলতে হবে বাঁচতে চাই, বিজেপি বাই। বাঁচতে চাই মানে বলতে চাইছে মারতে চাই। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ২০২৯ এর ভিত হচ্ছে ২০২৬। মানবে না হার, তৃণমূল আবার, এটা সবাইকে বলতে হবে।’
