রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee Jagdeep Dhankhar) এই তরজার কেন্দ্রে রয়েছে 'কাজের এক্তিয়ার' বা 'সীমারেখা' প্রসঙ্গ। বক্তব্য পেশ কিংবা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কার সীমা কতটা, এবার তা নিয়ে পরোক্ষে বাকযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্যপাল ও তৃণমূল সাংসদ। রবিবার শিলিগুড়িতে পা রেখেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম না করে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বলেছিলেন, ”একজন সাংসদ সীমা ছাড়িয়েছেন।” বিকেলেই তার পালটা জবাব পেলেন তিনি। অভিষেকের ট্যুইট, কে সীমারেখা অতিক্রম করছেন, তা মানুষই দেখছেন।
advertisement
শিলিগুড়িতে এদিন ধনখড়র বক্তব্য ছিল, “এসএসসি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি, তাঁকে আক্রমণ করা নিন্দনীয়। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়েছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজির আক্রমণ করেছেন। বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ নিন্দনীয়। শনিবার যা হয়েছে, তার জন্য মুখ্যসচিবকে বলছি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।” নাম না করলেও তিনি কার্যত যে তৃণমূল সাংসদকেই বিঁধেছেন তা তাঁর বক্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট ছিল (Abhishek Banerjee Jagdeep Dhankhar)।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু মা-মেয়ের, তুমুল চাঞ্চল্য ডুয়ার্সের চা বাগানে...
জবাব দিতে দেরি করেননি অভিষেক। ট্যুইটে বিকেলেই তিনি জবাব দেন রাজ্যপালের আক্রমণের। তাঁর বক্তব্য, "আমি সত্যি কথা বলতে পছন্দ করি। আগের দিন আমি বিচারব্যবস্থার অন্তর্গত ১ শতাংশ মানুষের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে কিছু বলিনি। এখন মানুষই দেখুন, কে সীমারেখা অতিক্রম করছে।”
আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি! ১০৩ ঘণ্টার অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং
প্রসঙ্গত, শনিবার হলদিয়ায় (Haldia) শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বলতে লজ্জা লাগে বিচারব্যবস্থায় ১-২ জন এমন আছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ যোগসাজশে তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। তারা ১ শতাংশ হবে। কিছু হলেই সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিচ্ছে।” অর্থাৎ বিচারব্যবস্থা নিয়ে এদিন কার্যত প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।