এর আগে ফ্রেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার কৌশল ভারচুয়াল বৈঠকে স্থির করেন অভিষেক। ঠিক তেমনই সংগঠনকে আরও শক্তপোক্ত করাও ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। সে কারণেই তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের আরও জোটবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যে কোনও কর্মসূচির ক্ষেত্রে অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের কথা বলে বুথ সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এছাড়া, তফশিলি জাতি, উপজাতি শ্রেণিভুক্তদের নিয়ে একটি আলাদা ‘টিম’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিষেকের নির্দেশ ছিল, “যেখানে যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেখানে ব্লক সভাপতিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপনাদের বিধানসভার ১০ জন তফশিলি জাতি ও ৫ জন তফশিলি উপজাতি শ্রেণিভুক্তের নাম পাঠাবেন । এমন নাম পাঠাবেন যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সমর্থক।’’
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘ এই ১৫ জনকে আমরা কাজে লাগাব। যেভাবে বছরের পর বছর বিজেপি তফশিলি জাতি, উপজাতি শ্রেণিভুক্তদের উপর অত্যাচার করছে সেকথা আমরা তুলে ধরব। এমন নাম পাঠাবেন না যে আপনার কাছের লোক তাই পাঠিয়ে দিলেন। আমরা খতিয়ে দেখব। বাংলায় যে কটি বুথ রয়েছে সেই প্রতিটা বুথ থেকে চারটি করে নাম ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলের কাছে পাঠাবেন। মাদার সংগঠন থেকে দু’জন, একজন মহিলা সংগঠন ও একজন যুব সংগঠনের (যাঁর বয়স ৪০ বছরের কম)। এই সেনাদের আমরা কাজে লাগাব।”
সেই নাম ইতিমধ্যেই জনপ্রতিনিধিরা পাঠিয়ে দিয়েছেন। অভিষেকের অনুমান, আগামী দুই এক দিনেই হয়তো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। সেই সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আরও একবার ভারচুয়াল বৈঠকে বসবেন অভিষেক। কোন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটপ্রচার করবে ঘাসফুল শিবির, তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।