পাশাপাশি, যে সব কাজ এখনও শেষ হয়নি, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য, পুর এলাকার কাউন্সিলররা, দলীয় পদাধিকারী এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক এবং বাস্তুকাররা।
দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে এই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারকে সব সময় বিশেষ নজরে দেখেন অভিষেক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় ডায়মন্ড হারবার এলাকা জুড়ে দুঃস্থ মানুষদের খাবার পৌঁছে দিতে কর্মসূচি নিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতি বছর এমপি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
advertisement
পাশাপাশি, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এক ডাকে অভিষেক’ নাম দিয়ে গত দু’বছর এই হেল্পলাইন শুরু করেছেন অভিষেক। যার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের সমস্যা বা চাহিদার কথা এখানে জানান।
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বছরের শুরুতেই নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য চালু করেছেন বার্ধক্য ভাতা। বিশেষ ক্যাম্প করে যাঁরা এই ভাতার প্রাপক তাঁদের চিহ্নিত করে এই ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে পরপর দু’বার জয়ী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি যদি ওই কেন্দ্র থেকে লড়েন, তাহলে তৃতীয়বারের জন্য টিকিট পাবেন তিনি। বর্তমানে অভিষেক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলাচ্ছেন। ওই কেন্দ্রে অন্যান্য বিরোধী দল কাদের টিকিট দেবে, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। উঠে এসেছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নামও।
আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নজরে উত্তরবঙ্গের আসন! আজ থেকে সফরে মমতা বন্দোপাধ্যায়
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, গত পাঁচ বছরে পরিস্থিতি বদলেছে অনেক। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় প্রার্থী নিয়ে ইতিমধ্যেই নওশাদ সিদ্দিকী তার নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। কার্যত প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতাও এই লোকসভায় গিয়ে বারবার প্রচার সারছেন। এই অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে তার দলের সতীর্থদের কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার।