তবে, এদিন আরও উল্লেখযোগ্য কিছু নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও, সমস্ত ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান (লিস্ট অফ অ্যাসেটস) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অর্থাৎ যদি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে ইডিকে।
advertisement
এখনও পর্যন্ত তদন্তে ইডি যা পেয়েছে, সঙ্গে কিছু সিনেমা জগতের কিছু ব্যক্তির যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এদেরও সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে নির্দেশ ইডিকে। কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, ইডি। যেমনটা তারা করছে।
আরও পড়ুন: আলোচনার কেন্দ্রে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস, কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে ইডি!
প্রসঙ্গত, ইডি-র তরফ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে হয়েছে, ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তারা তদন্তের মধ্যে আনবে না। । গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, এক তদন্তকারী অফিসার ওই কম্পিউটারে মেয়ের কলেজের ফর্ম ডাউনলোড করেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: মহিলার গোপনাঙ্গে ধাতব শব্দ! বনগাঁর সীমান্তে যা উদ্ধার হল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
এরই মধ্যে তদন্তকারী এক অফিসারের গুয়াহাটির অফিসে যোগ দেন। তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। যদিও ইডি অফিসারদের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটি যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ২ বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটি বদলি হয়েছিল। তাঁকে পুনরায় আবার সেই স্থানে পাঠানো হয়। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আসরে নামে কলকাতা পুলিশও। এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। আর সেই মামলাতেই উল্লেখযোগ্য কিছু নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।