অবশ্য বিজেপির দুশ্চিন্তা বৃহস্পতিবার প্রথম বাড়িয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। দলবদল প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ''কয়েকদিন বাদে এমন একটা নাম আসবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, চিন্তা করতে পারবেন না।'' তাঁর আরও দাবি ছিল, 'বিধায়করা তো আসছেনই, আরও অনেক বিধায়ক আসবেন। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন এমন এক বড় নাম, ভাবতে পারবেন না সেটা।' কিন্তু কে সেই নেতা, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রী।
advertisement
দলে ভাঙনের আশঙ্কা যে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে BJP-র নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও (Sukanta Majumdar)। ফিরহাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তও গতকাল বলেন, 'যারা নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপি দলটা করেন, তারা কখনও পার্টি ছেড়ে যে যাবেন না, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। তবে আপনাদের মাধ্যমেই আমি বলছি, যাদের দলের মধ্যে কোনও সমস্যা হচ্ছে, রাগ-ক্ষোভ রয়েছে, তাঁরা আসুন দলের মধ্যে আলোচনা করুন।' দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সুকান্তর সংযোজন, 'আমি মনে করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয় না, এমন কোনও সমস্যা নেই। আসুন, সবাই একসঙ্গে কাজ করি। এই সরকারকে উৎখাত করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ভবানীপুরে সম্বিত পাত্র, হঠাৎ এক গান আর স্লোগানেই ছন্দপতন! তারপর?
তাতে অবশ্য বিজেপির অন্দরের জল্পনা যাওয়ার নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী-সাংসদের দলবদল নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। লকেটের তরফে অবশ্য সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বাবুল সুপ্রিয়র যোগদানের দিন বলেছিলেন, 'সবে তো শুরু হল, দেখতে থাকুন...' এরপর বৃহস্পতিবারও তিনি যেভাবে বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির।