আগে দেখা দরকার এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় কিনা। এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কাল বিকেল ৪টের সময় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ECIR একটি ইডি’র। ওই ECIR খারিজ চেয়ে আগেই হাইকোর্টে মামলা করেন অভিষেক। তার শুনানি শেষ হয়েছে। সম্ভবত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দান করবেন। এই অবস্থায় নতুন করে একই কেসে কীভাবে সমন পাঠায় ইডি? প্রশ্ন অভিষেক আইনজীবীর।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘার হোটেলে ছোট-ছোট ছেলেদের সঙ্গে…ক্যারাটে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! তোলপাড়
প্রসঙ্গত, গত ২০ অগাস্ট নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে হানা দেয় ইডি। ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে বেরোয় তারা। সেদিন বিকেলেই এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যখন খুশি ঢুকে পড়ছে। তার পর সবাইকে সেখান থেকে বার করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: একশো কেজির রতন একাই একশো! ডাকাত দলকে ঘায়েল করে নায়ক রানাঘাট থানার এএসআই
পরদিন ২৩ অগাস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডি জানায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমার অফিসে’ তল্লাশি হয়েছে বলে দাবি করেন অভিষেক। অভিযোগ করেন, তাঁর সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের।
বিজেপির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে অভিষেক বলেন, ‘আপনারা তো দেখেছেন আমি বিদেশে গেলাম চিকিৎসা করাতে আর এমন হাওয়া তুলল যে যেন আমি আর ফিরব না।’ এই প্রসঙ্গে অভিষেক মোদি, চোকসি ও মাল্য পদবী উল্লেখ করে বলে আমি ওদের সমগোত্রের নই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।