Ranaghat viral police officer: একশো কেজির রতন একাই একশো! ডাকাত দলকে ঘায়েল করে নায়ক রানাঘাট থানার এএসআই

Last Updated:
রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়৷
রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়৷
রঞ্জিৎ সরকার, রানাঘাট: পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালাচ্ছে তিন দুষ্কৃতী৷ তাদের পিছন পিছন পাল্টা গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগোচ্ছেন সাধারণ পোশাক পরা এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি৷ রোগা পাতলা চেহারার দুষ্কৃতীরা দ্রুত এগিয়ে গেলেও স্থূলকায় ওই ব্যক্তি তাঁদের ধাওয়া করতে গিয়ে বেশ বেগ পাচ্ছেন৷
রানাঘাটে নামী সোনার গয়নার শোরুমে ডাকাতির ঘটনার পর ডাকাত এবং পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াইয়ের ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়৷
আসলে পুলিশ বলতে মাত্র একজন অফিসারের সঙ্গে গুিলর লড়াই চলে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের৷ তিনি রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়৷ রানাঘাট থানার ওই অকুতোভয় অফিসারের গুলিতেই প্রথমে ঘায়েল হয় দুই ডাকাত৷ মূলত তারই কৃতিত্বে ঘটনাস্থল থেকেই চার ডাকাতকে ধরতে পারে পুলিশ৷ উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া গয়না, টাকা৷
advertisement
advertisement
কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, রানাঘাট থানার সেই এএসআই রতনবাবু অবশ্য নির্লিপ্ত৷ উপরমহল, সহকর্মী, সাধারণ মানুষ তাঁর সাহসে মুগ্ধ হলেও রতনবাবুর কাছে মঙ্গলবার ছিল পুলিশের সম্মান বাঁচানোর লড়াই৷ ডাকাতির খবর পাওয়া মাত্রই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, যে কোনও ভাবে দুষ্কৃতীদের ধরতেই হবে৷
গতকাল দুপুরে যখন রানাঘাটের ওই গয়নার শোরুমে ডাকাত দল হানা দেয়, প্রথমে বাইরে থেকে কেউ একজন থানায় ফোন করে খবর দেন৷ এর পর পরই রতনবাবুকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রানাঘাট থানার আইসি৷
advertisement
খবর পেয়েই আর দেরি করেননি রতন বাবু৷ তাঁর কথায়, ‘খবর পাওয়ার চার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে গিয়েছিলাম৷ পোশাক পরারও সময় পাইনি৷ পোশাক পরতে গেলে হয়তো ডাকাতরা পালিয়ে যেত৷ আইসি সাহেবের নির্দেশেই আমরা যা করার করেছি৷’
advertisement
রতন বাবু জানিয়েছেন, মোট চার জন অফিসার ও আরও ছ জন পুলিশকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা৷ পুলিশ দেখেই শোরুম থেকে বেরিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ দমে না গিয়ে পাল্টা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন রানাঘাট থানার ওই এএসআই৷ সেই দৃশ্যই মোবাইল বন্দি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ কার্যত রতন বাবুর সঙ্গেই গুলির লড়াই শুরু হয় ডাকাতদের৷ নিজের শরীরের ওজন প্রায় ১০০ কেজি হওয়ায় দ্রুত চলাফেরা করা তাঁর পক্ষে কঠিন৷ তবু মঙ্গলবার ডাকাতদের পিছু নেন তিনি৷
advertisement
একা তিন চার জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীর মুখোমুখি হতে ভয় করল না? হাসি মুখে রতন রায়ের জবাব, ‘ভয় ভীতি কিছু ছিল না৷ একটাই কাজ ছিল ওদের ধরতে হবে৷ এটা আমাদের কর্তব্য৷ ওরাও গুলি করছিল, আমিও গুলি করছিলাম৷ তখন কিছু মাথায় ছিল না৷ ওদের ধরতে এলাকার বাসিন্দারাও আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে৷’
advertisement
পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অনেক৷ তার মধ্যে অন্যতম, অপরাধ যেখানে ঘটে সেখানে সময় মতো পৌঁছতে পারে না পুলিশ৷ রতনবাবুর মতো অনেক পুলিশ অফিসার, কর্মী শারীরিক ভাবে কতটা ফিট, তা নিয়েও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কম হয় না৷ মঙ্গলবারের পর অবশ্য রতনবাবুর ফিটনেসের কথা ভুলে সবাই তাঁর সাহসিকতারই প্রশংসা করছেন৷
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-র সৌজন্যে অকুতোভয় রতন বাবুর কীর্তি রীতিমতো ভাইরাল৷ যদিও যাঁকে নিয়ে এত চর্চা সেই রতন রায় বলছেন, কোথায় ভাইরাল হয়েছে জানি না৷ আমি আমার কর্তব্য করতে পেরেছি, এতেই খুব খুশি৷ যদিও আক্ষেপের সুরে রতন বাবু আরও বলেন, পুলিশে যাঁরা চাকরি করছেন, সবাই যেন এগিয়ে আসেন৷ পুলিশকে সবাই দোষ দেয়৷ থানার কাছাকাছি থাকলেও কেন পুলিশ এল না৷ কিন্তু অনেক সময় পুলিশের কাছে খবর আসতেও দেরি হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি আমরা খবর পেয়েছি৷
advertisement
রতনবাবুর সাহসিকতায় মুর্শিদাবাদে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও খুশি৷ কিন্তু যেভাবে দুষ্কৃতীদের গুলির মুখে বেপরোয়া ভাবে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন, সেই দৃশ্য দেখে বুক কেঁপেছে রতন বাবুর স্ত্রী সহ আত্মীয়- এবং বন্ধুদের৷
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Ranaghat viral police officer: একশো কেজির রতন একাই একশো! ডাকাত দলকে ঘায়েল করে নায়ক রানাঘাট থানার এএসআই
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement