আজ সোমবারও তা নিয়ে ঠাকুরনগরের হাওয়া রীতিমতো গরম৷ সোমবার সকালেও দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, ইলা বাগচির অভিযোগ, ‘‘শান্তনু ঠাকুরের দলবল আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। বুকে, কোমরে আমার চোট লেগেছে।’’
আরও এক তৃণমূলকর্মী শিপ্রা বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘বন্দুকের বাট দিয়ে আমাকে মারা হয়েছে। বিজেপির দলবল ঠাকুরবাড়ির সিঁড়ি থেকে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে। শান্তনু ঠাকুর তখন দাঁড়িয়ে দেখছে। একজন মহিলা হয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা পেলাম না।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ৪ লাখ টাকায় ঝাড়ুদারের চাকরি, ৬ লাখেই ইঞ্জিনিয়ার! এবার ‘ফাঁস’ পুর নিয়োগের রেট-চার্ট
এর পাল্টা অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির৷ তাদের অভিযোগ, বিধায়ককে হেনস্থা করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে৷ তাদের অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়িতে আহতদের চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়।
বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তাছাড়া, চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বিজেপি কর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয় বলেও অভিযোগ করেন শান্তনু ঠাকুর৷
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। গাইঘাটা বিজেপি বিধায়ককে হেনস্থা করা হয়েছে । যারা মারল পুলিশ তাদের আড়াল করছে।’’ সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন শান্তনু ঠাকুর।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা! বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় গোটা বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছেন৷ তিনি উল্লেখ করেছেন, “এরা কার নিরাপত্তার দায়িত্বে? এরা শান্তনু ঠাকুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে৷ এরা শান্তনুকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করল।”
একই সাথে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের মহিলা কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এমনই আবহে সোমবার সকাল থেকেও রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে ঠাকুরবাড়ি ঘিরে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই বাড়বে এই চাপানউতোর।